যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোলে পরিবহন কাউন্টার ভাঙচুর ও শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট চার ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সালামের নেতৃত্বে উভয় পক্ষের সমঝোতা বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর দুপুর ১টা থেকে পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনার পর শনিবার সকাল ৮টা থেকে থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ধর্মঘটের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীরাও।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সালাম বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও পোর্ট থানার ওসিকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেছিলাম। বৈঠকে অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছে যে, তারা পরিবহন সেক্টরে কোনো সমস্যা করবে না। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বেনাপোল গ্রিন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার সুব্রত ঘোষ বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে শুক্রবার বিকেলে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেনাপোল বন্দরে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বেনাপোল পরিবহন স্ট্যান্ডে পৌঁছালে গ্রিনলাইন পরিবহনের এক শ্রমিকের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওই পরিবহনের চার শ্রমিক মারধরের শিকার হন। পরে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এর জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা শনিবার সকাল ৮টায় ধর্মঘটের ডাক দেন। সকালে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও পথসভা করেন পরিবহন শ্রমিকরা। পরে তারা ঢাকা-কলকাতা মহাসড়কের উপর বেনাপোল বাজারে পরিবহন আড় করে দিয়ে যানবাহন চলাচল ও আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেন।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ও সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সমঝোতা বৈঠকে অভিযুক্তরা মুচলেকা দিয়ে মাফ চেয়েছে। একই সঙ্গে তারা পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি, হয়রানি করবে না বলেও অঙ্গীকার করেছে। এরপর পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৮, ২০১৭)