হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা : উজানের নেমে আসা ঢল এবং গত চারদিনের বর্ষণের কারণে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা, করতোয়া এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।

এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় বসবাসরত মানুষেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া বাঁধের ১৫টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানির চাপ বাড়লেই বাঁধের ওই অংশগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। জানা গেছে, গত ১০ বছরে এ বাঁধটির ব্যাপক ক্ষতি হলেও এর সংস্কার বা মেরামত কাজ কোনটাই করা হয়নি। ফলে যে কোন সময় বাঁধের দুর্বল অংশগুলোতে পানির চাপ পড়লেই ভেঙ্গে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাইবান্ধা অংশে ৭৮ কি.মি. বাঁধ রয়েছে। গোটা বাঁধটির এখন জরাজীর্ণ অবস্থা।

ইতোমধ্যে ফুলছড়ি উপজেলার রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য উড়িয়া এলাকায় বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট ডুবতে শুরু করেছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকা এবং নিচু অংশগুলো তলিয়ে যাওয়ায় উঠতি ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব ফসলের ক্ষতির আশংকা করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, উজানের ঢল এবং বৃষ্টিপাত থাকলে নদ-নদীর পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল সদর উপজেলার কামারজানি থেকে সাঘাটা উপজেলা পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিস্তৃত বাঁধ এবং এ সমস্ত বন্যা কবলিত এলাকা শনিবার পরিদর্শন করেন।

(এইচআইবি/এএস/জুলাই ০৮, ২০১৭)