হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘটসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ১০ সে.মি., ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অন্যান্য নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও সেগুলো এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে ওইসব এলাকার নিম্ন ও চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। অন্তত: ৩ হাজার একর তোষাপাট পানিতে ডুবে আছে।

এদিকে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও নেমে আসা ঢলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ার ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। হুমকির মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ড এখন বন্যা কবলিত। শুধু সেখানেই ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান, এখন পর্যন্ত পানিবন্দি পরিবারের তালিকা সঠিকভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় তিনি জানান, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের ১৫টি ওয়ার্ড বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জরুরীভাবে ১শ’ ২৫ মে. টন চাল ও ৪ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

(এইচআইবি/এএস/জুলাই ০৯, ২০১৭)