স্পোর্টস ডেস্ক : ঘানার বিপক্ষে ম্যাচে মাথায় কালো পরচুলা পরে একঝাঁক জার্মান সমর্থক আসেন মাঠে। সেটাতে অবশ্য কোনো সমস্যা নেই; কিন্তু হাতে ও মুখে কালো রঙ মেখে এলে বর্ণবৈষম্যের বিষয়টি সবার সামনে আসে। আর এ অঙ্গসজ্জায় বর্ণবাদের প্রতিধ্বনি শুনেছে ফিফা। আর এর জন্য জার্মানির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যাচ্ছে ফুটবলের অভিবাবক সংস্থা ফিফা।

জার্মান সমর্থকদের এ অঙ্গসজ্জার ছবি ম্যাচ শেষে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। আর তাতেই শোরগোল পড়ে যায় সবখানে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে সমর্থকদের আচরণের দায়ভার সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওপর বর্তাবে। আর এই কাণ্ডের পর ফিফা নিশ্চুপ থাকায় সমালোচনা আরও ঘনীভূত হয়। চারদিকে প্রশ্ন উঠতে থাকে— জার্মান ফুটবল ফেডারেশন কি তাহলে নিয়মের বাইরে? এ অবস্থায় টনক নড়ে ফিফা-কর্তাদের। দ্রুতই তারা জানিয়ে দেন, ‘বিষয়টি ইতিমধ্যে ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে বিষয়ে ওই কমিটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

ওই একই ম্যাচে আরেকটি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। খেলার মাঝপথে মাঠে ঢুকে পড়েন এক দর্শক। শুধু মাঠে প্রবেশ করেই ক্ষান্ত হননি তিনি। ঢুকেই খুলে ফেলেন পরনের জামা। নগ্ন গাত্রে তিনি লিখে রেখেছিলেন একটি ফোন নম্বর, ই-মেইল ফিবা ও নািসদের সমর্থনের বক্তব্য। তার দাবি— তিনি পোল্যান্ডের বাসিন্দা। ওই ঘটনার সময় সেখানে ফিফা বা ব্রাজিল কারও কোনো নিরাপত্তাকর্মীকে পাওয়া যায়নি। পরে ঘানার খেলোয়াড় সুলে মুন্তারি তাকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে ফিফা জানিয়েছে, ওই বিষয়টিও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির নজরে আনা হয়েছে।

গল্পটি অবশ্য এত ছোট নয়। বৈষম্যহীন ফুটবল বিশ্ব গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ফিফার হয়ে কাজ করা সংস্থা ‘ফেয়ার’ও ফিফার কাছে বিশ্বকাপে দর্শকদের আচরণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। সংস্থাটির দাবি— ব্রাজিল আর মেক্সিকো ছাড়াও নাতাল ও ফোর্তালেজার কয়েকটি ম্যাচে বেশ কয়েক দর্শককে ‘পুতো’ শব্দটি ব্যবহার করতে শোনা গেছে। যার অর্থ ‘যৌনকর্মী’। এর মধ্যে আবার ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ম্যাচে মেক্সিকোর সমর্থকদের নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।


(ওএস/এইচআর/জুন ২৫, ২০১৪)