রাজন্য রুহানি, জামালপুর : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে জামালপুর জেলার নিম্নাঞ্চল। যমুনা নদীর পানি না বাড়ায় জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি ও জামালপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আরো ৬টি ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রাম। এ নিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৫টি উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নের কমপক্ষে ৮০ হাজার লোক। ৫ দিন ধরে পানিবন্দি থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বানভাসী মানুষেরা।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি রোববার ২ সেন্টিমিটার কমলেও সোমবার তা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৭ সিন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, তুলশিচর, মেলান্দহের মাহমুদপুর, মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি, জোড়খালি, সরিষাবাড়ি উপজেলার পিংনা ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ২টি ওয়ার্ডসহ ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় কোনো কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে নিন্মআয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। দিন এনে দিন খাওয়া এসব লোকজন খাবার সংকটে ভুগছে। পুরো চরাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বন্যার্তদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পানিববন্দি মানুষের তুলনায় স্থানীয় প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

(আরআর/এএস/জুলাই ১১, ২০১৭)