গাজী মুনছুর আজিজ


ঈদে শিশুদের বড়রা নতুন জামা, জুতা, খেলনা বা সালামি হিসেবে দেয় নতুন টাকা। তবে এসবের পাশাপাশি চাঁদপুরের গাজী আবদুর রহমান পাঠাগারের উদ্যোগে সালামি হিসেবে শিশুদের দেয়া হয়েছে নতুন বই। ২৬ জুন ঈদুল ফিতরের দিন দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার নানুপুর গ্রামের গাজী বাড়িতে প্রায় অর্ধশত শিশুকে এ বই দেয়া হয়। পাঠাগারের উপদেষ্টা মরিয়ম বেগম এ বই বিতরণ করেন। এর আগেও এ পাঠাগারের উদ্যোগে একই স্থানে ও উপজেলার ইসলামপুর গাছতলা গ্রামে ঈদের সালামি হিসেবে শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। এবার পাঠাগারটি ১১বারের মতো এ বই বিতরণ করল। দেশীয় পণ্যের উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মরিয়ম ক্র্যাফট প্রতি বছরের মতো এবারও বই বিতরণ কার্যক্রমের সহযোগী ছিল।

বিতরণ করা বইয়ের মধ্যে ছিল ছড়া, কবিতা, গল্প, মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান, ফুল, পাখি, প্রকৃতি, সাধারণ জ্ঞান ও শিশুতোষ ম্যাগাজিন। ঈদের সালামি হিসেবে ব্যতিক্রমী এ উপহার পেয়ে শিশুরা বেশ আনন্দ প্রকাশ করে। নতুন বই পেয়ে চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম দেওয়ান, নানুপুর স্কুলের সাগর, মীমসহ অন্যরা জানালো বই পেয়ে তারা খুব খুশি হয়েছে। এছাড়া তারা জানালো ছড়া-কবিতা বা গল্পের বই পড়তে অনেক ভালোও লাগে।

পাঠাগারের উপদেষ্টা মরিয়ম বেগম বলেন, পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি শিশুরা সৃজনশীলন বই পড়লে তাদের সুকুমার বৃদ্ধি পায়। সেজন্য উৎসব-পার্বণে শিশুদের বই উপহার দিলে তাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠতে সহায়ক হবে। সে লক্ষেই আমরা ঈদের সালামি হিসেবে শিশুদের সৃজনশীল বই উপহার দিয়ে আসছি।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পাঠাগারের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, গাছের চারা বিতরণ ও রোপণ, সাধারণ জ্ঞান ও বিভিন্ন খেলাধুলা প্রতিযোগিতা, ইলিশ আড্ডাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আয়োজন ও ‘ঈদ উৎসব’ নামে ঈদের শুভেচ্ছাপত্র প্রকাশিত হয়ে আসছে।

(জিএমএ/এএস/জুলাই ১১, ২০১৭)