ডেস্ক রিপোর্ট : দুশ্চিন্তা মাথায় আনেন না এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তার সমস্যায় ভোগেন। কথা হলো, দুশ্চিন্তা এমন একটি জিনিস যা মানুষ ইচ্ছে করে করেন না। আপনা আপনিই কোনো না কোনো কারণে আমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। এখানে জেনে নেয়া যাক, দুশ্চিন্তা দূর করার কিছু উপায় :

মেডিটেশন করুন : খুব বেশি দুশ্চিন্তায় যারা ভোগেন তাদের সহজে দুশ্চিন্তা দূর হতে চায় না। এবং খুব সহজেই তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকেন। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান মেডিটেশন। সকালে শান্ত পরিবেশে ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন করেন নিলে সারাদিনের দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। এছাড়াও খুব বেশি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য মেডিটশনে বসে যান।

গভীর ভাবে শ্বাস নিন : খুব বেশি মাত্রায় দুশ্চিন্তা হচ্ছে? কিছুতেই মাথা থেকে বের করতে পারছেন না দুশ্চিন্তা? কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না? তাহলে একটি কাজ করুন। চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবে বুক ভোরে শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এতে রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাবে। অক্সিজেন মস্তিষ্ক এবং মাংসপেশির আড়ষ্টতা দূর করে শিথিল করতে সাহায্য করবে। এভাবে ৫-১০ মিনিট করুন। দুশ্চিন্তা অনেকাংশেই দূর হবে।

মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিন : যখন দুশ্চিন্তা হয় তখন মানুষ শুধুমাত্র নিজের দুশ্চিন্তাতেই মগ্ন থাকে এতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। তাই দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকতে দুশ্চিন্তার কারণ থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেয়া ভালো। মানসিক স্বস্তির জন্য অন্য কোনো কিছুতে মনোনিবেশ করুন। দুশ্চিন্তা কমে যাবে।

শারীরিক পরিশ্রম করুন : শারীরিক ব্যায়াম এবং পরিশ্রম আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে মস্তিষ্ক সতেজ হয় এবং আপনি যে কাজটি করছেন তার দিকে মনোনিবেশে সহায়তা করে। এতে আপনার মনোযোগ শুধুমাত্র সেই পরিশ্রমের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এবং আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না।

নিজেকে উপহার দিন একটুকরো চকলেট : সেরিটেনিন নামক হরমোনটি মস্তিষ্কে উৎপাদন করার জন্য একটুকরো হলেও চকলেট খান। সেরিটেনিন মস্তিষ্কে ভালোলাগার অনুভূতির সৃষ্টি করে এবং মস্তিষ্ক শিথিলে কাজ করে। দুশ্চিন্তা দূর করতে চাইলে একটুকরো চকলেট মুখে পুড়ে নিন।

(ওএস/এইচআর/জুন ২৫, ২০১৪)