মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারে জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর বর্ধিতসভায় চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে এবং দফায় দফায় বন্যায় মৌলভীবাজারের জেলার লাখ লাখ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়লেও সরকারিভাবে পর্যান্ত ত্রাণ সরবরাহ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং বানভাসী জনগণের জন্য পর্যাপ্ত ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল আহমেদ।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ জেলা কমিটির সভাপতি শহীদ সাগ্নিক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস। সভার শুরুতে রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা নূর মোঃ জসিমউদ্দিনের পিতার মৃত্যুতে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দুলাল মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি শাহজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কিসমত মিয়া, কালেঙ্গা আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ গিয়াস মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুদর রহমান, প্রচার সম্পাদক মোস্তফা মিয়া, বড়হাট আঞ্চলিক শাখার নেতা মোঃ সুরুজ্জামান, কুলাউড়া উপজেলা শাখার নেতা শেখ মোঃ আব্দুল ছাত্তার ও মোঃ খালেদ মিয়া প্রমূখ। সভায় এক প্রস্তাবে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে ২১ দফা দাবিতে আগামী ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য শুরু হতে যাওয়া ধর্মধটের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। অবিলম্বে নৌ-শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত দাবি মেনে নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টির আগেই নিরসন করার জন্য সরকার ও মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতিপূর্ণভাবে ন্যায্য ভাড়ার তালিকা প্রদান, শহরের সুবিধাজনক স্থানে স্থায়ী রিকশা স্ট্যান্ড স্থাপন, রিকশা শ্রমিকদের উপর জুলুম অত্যাচার বন্ধ, স্বল্পমূল্যে রেশনিং চালু, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রমআইন প্রণয়ন, শ্রীমঙ্গলে স্থায়ী শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা ও যুগ্ম-শ্রম পরিচালকের কার্যালয় স্থাপনের জোর দাবি করা হয়।

(একে/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৭)