গাইবান্ধা প্রতিনিধি : ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত দু’দিনে বন্যার পানিতে ডুবে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নে বুধবার রাতে স্বপ্না খাতুন এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার কাবিলপুরে পিনহা নামে দু’টি শিশু মারা যায়। বন্যা কবলিত এলাকার পানিবন্দী মানুষরা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গবাদি পশু, হাঁস-মুরগী নিয়েও তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গো-ঘাট এলাকায় অব্যাহত ভাঙ্গনে এখন বিপন্ন।

জেলা প্রশাসন সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নে ১শ’ ৯০টি গ্রামে ২ লাখ ১০ হাজার বন্যা কবলিত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া নতুন করে ১২ হাজার ৭শ’ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে ৩ হাজার লোক আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এদিকে ২শ’ ৪১ হেক্টর জমির পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৮১ কি.মি. সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ৪টি উপজেলার ১২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

(এইচআইবি/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৭)