হুমায়ুন কবির জীবন, কুমিল্লা : নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দেড় শতাধিক দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল সকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে চালানো এ অভিযানে ভেঙ্গে ফেলা হয় সাবেক কাউন্সিলর বিল্লালের কার্যালয়, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়সহ সদর হাসপাতাল সড়ক থেকে নবাববাড়ি চৌমুহনী পর্যন্ত দীর্ঘ ৬০ বছর দখলকৃত অবৈধ দোকান ও স্থাপনা।

জানা যায়, নগরীর ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির সাবেক কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে কার্যালয় নির্মাণ করেছিলেন। অভিযানে তার কার্যালয়টি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এছাড়াও ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ও অবৈধভাবে থাকার কারণে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এদিকে জনগণের স্বার্থে রাস্তা পরিষ্কার ও ড্রেন সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছিল। সে দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে কয়েকটি দোকান সিটি কর্পোরেশন থেকে লিজ নিয়ে দোকানদারি করেছিলেন। সেগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু জানিয়েছেন, জনগণের স্বার্থে এবং ড্রেন সম্প্রসারণ করার জন্য এ অভিযান চালানো হয়েছে। এর আগে সবাইকে অনেকবার বলার পরও তারা জায়গা ছাড়েনি। নোটিশও দেয়া হয়েছে। কুমিল্লার উন্নয়নের স্বার্থে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সরকারি জায়গাতে কেউ যেন অবৈধভাবে দখল করে না রাখে। স্বেচ্ছায় সবাইকে ছেড়ে দেয়ার জন্য আহবান জানাই এবং কুমিল্লার উন্নয়নে আমাকে সবাই সহযোগিতা করুন।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো: হেলাল উদ্দিন জানান, কুমিল্লা মহানগরীর এলাকায় সরকারি জায়গাতে থাকা সাবেক ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় অবৈধভাবে থাকায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের যৌথ অভিযানে মহানগরীর সদর হাসপাতাল সড়ক থেকে নবাববাড়ি চৌমুহনী পর্যন্ত প্রায় দেড়শ অবৈধভাবে দখলকৃত দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। জনগণের স্বার্থে রাস্তা পরিষ্কার ও ড্রেন সম্প্রসারণের জন্য অভিযান চালানো হয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স¤্রাট খিসা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: নুরুল্লাহ, জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

(এইচকেজে/এএস/জুলাই ১৪, ২০১৭)