হুমায়ূন কবির জীবন, কুমিল্লা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাউদকান্দিতে বেপরোয়া গতির বাস প্রাণ নিলো এক হেলপারের। দুর্ঘটনায়  ১০ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের গৌরীপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা ও কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় মহাসড়কের দাউদকান্দির গাজীপুরে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৪-০৮০১)  বাসটি দ্রুত গতিতে এলোপাতাড়ি ভাবে চালাতে গিয়ে সামনে থাকা রড বোঝাই একটি লরির ( চট্ট মেট্রো- ঢ- ৮১-১২১১) ভিতর ঢুকে যায়। এতে প্রায় ৮ জন যাত্রীর শরীলের বিভিন্ন অংশে রড ঢুকে যায়।

দুঘর্টনার সংবাদ পেয়ে দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা, দাউদকান্দি মডেল থানা ও দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। পরবর্তিতে উদ্ধার কাজে যোগ দেয় দাউদকান্দি মডেল থানা, হাইওয়ে থানা ও ফায়ার সার্ভিসের বিপুল সংখ্যক সদস্য। একে একে বের করে আনা হয় আটকা পড়া যাত্রীদের। আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস এ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি যোগে গৌরীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে তিশা বাসের হেলপার কুমিল্লার দেবিদ্ধার উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আঃ রশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ শাহ পরান (২৫) মারা যায়। গুরুতর আহত শাহিদা আক্তার (৫০), মামুন মিয়া (২৫), শাকিব ( ১৭), সোহেল (২৩), শহীদুল ইসলাম (৩৫), মোস্তাফা (৪৭) সাহারিন ফেরদৌস ( ২৫) ও কাজল বেগম (৩০) কে আশংকাজন অবস্থায় ঢাকা ও কুমিল্লা প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালক মোঃ মানিক মিয়া। তাদের দ্রুত গৌরীপুর হাসপাতালে নেয়া হলে ওসি আবুল কালাম আজাদকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মী মানিক মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানান, দুটি গাড়ির চালক পলাতক রয়েছে এবং মহাসড়কে যানজট নিরশনে ব্যাপক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ চালাচ্ছে।

(এইচকেজে/এএস/জুলাই ১৪, ২০১৭)