ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ নিজ বিভাগের সহকর্মী অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার আইসিটি আইনে মামলা করে নিজেকে ঢাবি কমিউনিটির কাছে ছোট করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য কমিশনার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

রবিবার দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ মানববন্ধনের অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে আবুল মনসুর আহম্মদের দায়ের করা মামলার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়।

বক্তারা বলেন, যে আইন নিয়ে সারাদেশে বিতর্কের ঝড় বইছে, ঠিক সে সময়ে নিজ বিভাগের আরেক সহকর্মীর বিরুদ্ধে এ আইনে মামলা করে আবুল মনসুর আহম্মদ হীন-মন্যতার পরিচয় দিয়েছেন। অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, এ আইনটি নিয়ে এতো বেশি বিতর্ক হয়েছে যে এ আইনে এখন কেউ মামলা করলে সেটি কীভাবে কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তারপরও এ আইনে মামলা করার মাধ্যমে এতো হাসাহাসি, এতো নোংরা কাঁদা ছোড়াছুড়ি যিনি সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি নিজেও আমাদের একজন সম্মানিত সহকর্মী। এটা করে উনি নিজেকে অনেক ছোট করে ফেলেছেন এ কমিউনিটির কাছে।

তিনি বলেন, আমরা কিন্তু কারো স্বাধীনতা কিংবা মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। সেটা নিরসনে যদি আমার কাছে মনে হয় সেটা আমার জন্য গ্রহণযোগ্য নয় তাহলে বিষয়টি নিরসনে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক স্তর রয়েছে। যেটার মাধ্যমে গিয়ে আমরা নিরসন করতে পারি।

সাবেক এই তথ্য কমিশনার প্রশ্ন রেখে বলেন, যিনি মামলাটি করেছেন তিনি একজন নির্বাচিত সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি আমরা বলি মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা-চেতনার সূতিকাগার। আমরা সব কিছুকে লিড দিয়েছি। তাহলে আমাদের ব্যবহারে কী প্রকাশ পাচ্ছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কি আমরা একটা পুলিশি বিশ্ববিদ্যালয় বানাব? কে কী বললো, কার সঙ্গে কী বলব, এগুলো নিয়ে কি আমরা তাদের ব্ল্যাকমেইল করব? এ বিষয়গুলোর কারণে আমরা যে ইঙ্গিত পেয়েছি। এটা মোটেও আমাদের কাছে কাম্য নয়।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৭)