আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম নারীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তাদের প্রতি দেশটির সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছেন।

মিয়ানমার সরকার এই প্রথম রাখাইন প্রদেশের একটি গ্রামে আন্তর্জাতিক সংবাদকর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়ার পর তাদের কাছে নিজেদের অবর্ণনীয় অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন রোহিঙ্গা নারীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।

এসব নারী জানান, মিয়ানমারের সেনারা তাদের গ্রামে হানা দিয়ে সব পুরুষকে ধরে নিয়ে যায় এবং নারীদের ওপর বলাৎকার চালায়। এ ছাড়া, যেসব রোহিঙ্গা তরুণ কৃষিকাজ করত সেনাবাহিনী এখনো তাদেরকে ফেরত দেয়নি। এর ফলে একমাত্র উপার্জনের পথটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাদেরকে চরম দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে।

মিয়ানমার সরকার গত কয়েক বছর ধরে রাখাইন প্রদেশের মুসলিম নিধনযজ্ঞের খবর প্রচার করতে দেয়নি। এমনকি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা মুসলমানদের অভিযোগ তদন্ত করে দেখার অনুমতি চাইলেও দেশটির সরকার সে অনুমতি দেয়নি।

নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে নতুন করে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র ধর্মান্ধ বৌদ্ধরা। এর ফলে বহু মানুষ হতাহত হওয়া ছাড়াও গত নয় মাসে প্রায় ৯০ হাজার মুসলমান শরণার্থীতে পরিণত হয়। মিয়ানমারের মুসলমানরা ন্যুনতম নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং এদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশটির শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৭)