লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : রায়পুরে পৌর শহরের বিসমিল্লাহ ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মো. নুর নবী (৪২) গলা কেটে হত্যার আলোচিত ঘটনাটি আট দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ রহস্য উদঘাটিত করতে পারেনি।

ঘটনার পর পাশের সেলুন ব্যবসায়ী বাবুল শীলসহ দু’জনেক সহন্দেজনক আটক করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে আনার পরও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কিনা তা নিশ্চিত করতে হয়নি পুলশি। আবার হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র কিংবা অন্য কোনও ক্লু উদ্ধার করা যায়নি এখনও।

নিহত নুর নবী পাশ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে রায়পুরে পৌর শহরের আমিন কমপ্লেক্স মার্কেটে ডেকোরেটর ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। আলোচিত এ ঘটানর আটদিন পার হলেও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত না হওয়ায় পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা ও বাজরের অন্য ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন ডেকোরেটন সমিতির নেতারা।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই রবিবার দিবাগত শহরের আমিন কমপ্লেক্স মার্কেটের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিচনের ভাড়া বাসায় বিসমিল্লাহ ডেকোরেটর মালিক মো. নুর নবীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সোমাবার ঘটনাস্থল আসেন জেলার পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় নিহত নবীর স্ত্রী পেয়ারা বেগম বাদী হয়ে আজ্ঞাত নাময় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাবাদের জন্য সহন্দেহজনক পাশের সেলুন ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৮ জনকে আটক করেন। জিজ্ঞাবাদের পর বাবুল শীলসহ দু’জনেক ওই মালায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে আনে পুলিশ। অন্যদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিহত নুর নবীর স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও দুই ভাই সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই। তার সাথে কোরও কোন বিরোধ না থাকার পর কেন এমন সৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। তবে আমার অনেকটা নিশ্চিত তাকে তার আস পাশের লোকজনই হত্যা করেছে।

যোগাযোগ করা হলে সোমবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, খুনের রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে। খুব শিঘ্রই মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। এছাড়াও মামলাটি খুব গুরুত্ব দিয়ে আমি নিজেই দেখছি এবং তদন্ত করছি। বিভিন্ন কায়দায় খুনের ঘটনার অনেক তথ্য হাতে আসছে। তদন্তের সাথে তা এখন বলা সম্ভব নয়। তবে দু’একদিনের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।


(এমআরএস/এসপি/জুলাই ১৭, ২০১৭)