চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাবিখা প্রকল্পের ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেছেন ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদা বেগম। এ অভিযোগ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাবিখা প্রকল্প আবুল খায়ের খাঁ বাড়ি হতে আবু সাঈদ ঢালীর বাড়ি পর্যন্ত নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে ১৪শ’ ফুট রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কার কাজ করানোর দায়িত্ব ওয়ার্ড মহিলা মেম্বার ফরিদা বেগমকে দেয়া হয়। প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে মেম্বার ফরিদা ১ম ও ২য় কিস্তির ডিও নিজে গ্রহণ করে রাস্তার কাজ সঠিকভাবে চালিয়ে যান এবং ৩য় কিস্তির ডিও ফরমে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান কাসিম খান গত ২৩/০৩/২০১৪ তারিখে প্রতারণা করে ৩য় কিস্তির ডিও নিজে গ্রহণ করে প্রকল্পের অর্থ তুলে নিয়ে যান। এ প্রতারণার খবর মেম্বার ফরিদা বেগম গত ৩০/০৪/২০১৪ তারিখে পিআইও অফিসে এসে জানতে পারেন। সিএসডি গুদাম থেকে প্রকল্পের খাদ্য শস্য উত্তোলন করতে প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে মেম্বার ফরিদার স্বাক্ষর করার নিয়ম থাকলেও তার স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। বিষয়টি তিনি চেয়ারম্যান কাসিম খাঁর কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তাকে সিএসডি গুদামে গিয়ে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং রাস্তার কাজ করা লাগবে না, পিআইও অফিস প্রকল্প কাজ বুঝে নিবে বলে চেয়ারম্যান মেম্বার ফরিদাকে বলেন। চেয়ারম্যান প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না, টাকা না দেয়ায় রাস্তার কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এদিকে নিজের অর্থে কাজ শুরু করে রাস্তার কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের টাকার জন্য বার বার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে কোনো পাত্তা পাচ্ছেন না মেম্বার ফরিদা। অপরদিকে প্রকল্প কাজ শেষ করার জন্য পিআইও তাকে চাপ দিচ্ছে।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করায় চেয়ারম্যানের ছেলে মুনসুর মেম্বার ফরিদা বেগমের স্বামী ইয়াছিন হাওলাদারকে থানা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যাবে বলে এলাকায় হুমকি দিচ্ছে। চাঁদপুর মডেল থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন মেম্বার ফরিদা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান কাসিম খান বলেন, প্রজেক্ট চেয়ারম্যান হচ্ছেন মেম্বার ফরিদা। ডিও তিনি গ্রহণ করেছেন। সেটার অর্থ আমি কীভাবে আত্মসাৎ করি। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। তিনি দাবি করেন, এলাকায় মেম্বারের স্বামীর একটি ঘটনার কাউন্টার দেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ।


(এমজে/অ/জুন ২৫, ২০১৪)