আহম্মদ ফিরোজ, ফরিদপুর : ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করেছেন ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পরিক্ষীতপুর গ্রামের মৃত আলেপ খানের পুত্র মৃত মোঃ নুরুল ইসলাম খান (নন্দ খান)। তিনি একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধকালীন পাক সেনারা বাড়ির সামনে থেকে তাকে ধরে নিয়ে বর্তমান কানাইপুরের করিমপুর ব্রীজের নিচে গুলি করে হত্যার পর তার মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেয়। অথচ মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর পার হলেও এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকভূক্ত হয়নি। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুরের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ লেবারেশন ফোর্সেস মুজিব বাহিনীর যুদ্ধ কালীন ডেপুটি লীডার ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফর স্বাক্ষরীত এক প্রত্যয়ন পত্রে শহীদ নুরুল ইসলাম খান (নন্দ খান) কে একজন প্রকৃত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে তাকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা অন্তর্ভূক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।

এ ব্যাপারে নুরুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধ কালীন গ্রুপ কমান্ডার ভাষা সৈনিক মোঃ আমিনুল ইসলাম বাসি মাষ্টার বলেন, আমার সাথে যে ১৮ জন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল তার মধ্যে নুরুল ইসলাম খান (নন্দ খান) ছিলেন অন্যতম। আমি তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি ও জানি।

বিষয়টি নিয়ে মধুখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ খুরশিদ আলমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক বাহিনী নুরুল ইসলাম খানকে গুলি করে হত্যা করে এবং করিমপুর ব্রীজের নিচে ফেলে দেয়। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমি নিজেও প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছি। এতো বছর পরেও তাকে কেনো শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্বশীলগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করি।

(এফএ/এএস/জুলাই ১৮, ২০১৭)