হাসানুজ্জামান


পৃথিবীর আদি থেকে এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্ত ছুটে চলে মানুষ। এটি মানুষের পুরাতন অভ্যাস। আর এই ছুটে চলার প্রধান  উদ্দেশ্য যোগাযোগ। সেটি কখনো পানি পথ, কখনো স্থল পথ বা কখনো বিমান পথ। পানি পথ বা স্থল পথ বা বিমান পথ অনেকটা নির্ভর করে মানুষের কাজের ধরনের উপর।

আর পানি পথ, স্থল পথ, বিমান পথ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থল পথ অর্থাৎ সড়ক যোগাযোগ। পরিসংখ্যানে দেখা যায় গতবছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় চার হাজার ১৪৪ জন নিহত ও পাঁচ হাজার ২৫৫ জন আহত হয়েছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ, বড় করা হচ্ছে রাস্তার প্রশস্ত, বাধ্যতামূলক কমানো হচ্ছে গাড়ির গতি। তারপরও যেন লাগামহীন এই সড়ক দুর্ঘটনা।

সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য নতুন নতুন গতিরোধক বসানো হয়েছে, পুলিশের হাতে দেয়া হয়ে চলমান গাড়ির গতি মাপার মিটার, বসানো হয়েছে সচেতনামূলক সাইনবোর্ড।

নানাভাবে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর চেস্টা করা হলেও আমরা কেউই সড়কে আইন মেনে চলি না । আর এই না মানাটাই সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ বলেই আমি মনে করি।

বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে

১. ট্র্যাফিক আইন কঠোর এবং তা মানা বাধ্যতামূলক করতে হবে
২. গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে
৩. ফিটনেস ছাড়া গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না, নিয়মিত গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে
৪. রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে
৫. যানবহনে অত্যাধিক হারে যাত্রী এবং মালামাল বোঝাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে
৬. রাস্তা সংস্কারের সময় এর সংকীর্ণতা কমাতে হবে
৭. পর্যাপ্ত সড়ক এর পাশাপাশি প্রশস্থ রাস্তা তৈরী করতে হবে
৮. ফুটপাতকে দখলমুক্ত করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করতে হবে
৯. উপযুক্ত পরীক্ষার পর যোগ্য ব্যক্তিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে
১০. সকল পর্যায়ের মানুষকে সচেতন হতে হবে

সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশে এক কলঙ্কের অধ্যায়ে পরিণত হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে দেশে প্রতি বছর হাজার মানুষ বেকার হচ্ছে, খতিগ্রস্থ হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে। কেউ কেউ হারিয়ে ফেলছে তাড় সুন্দর ভবিষ্যত।

সরকারকে সাথে নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর জন্য কাজ করতে হবে সকলকেই এবং সেটি খুব দ্রত।

লেখক : ছাত্র, সাংবাদিকতা বিভাগ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

(ওএস/অ/জুলাই ১৮, ২০১৭)