স্টাফ রিপোর্টার : চাল আমদানি সহজ করতে নীতিমালা শিথিল করল বাংলা‌দেশ ব্যাংক। এখন থেকে বিদেশি ক্রেতা ও ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতে চাল আমদানি কর‌তে পার‌বেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সরবরাহকারী তথা রফতা‌নিকারক রাজি হলেই কেবল এ সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, চাল, ডাল, মরিচ, লবণ প্রভৃতি পণ্য আমদানির বিপরীতে রফতা‌নিকারকদের নগদে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে সম্প্রতি চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ে‌ছে। তাই আমদানি উৎসাহিত করতে এই শর্তে ‌শিথিল ক‌রে‌ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, বেশকিছু প্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল বাকিতে আমদানির সুযোগ রয়েছে। আমদানির বিপরীতে ওই দেশের বিক্রেতার কাছ থেকে বাকিতে বা ওই দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ (বায়ার্স ক্রেডিট) নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ৯০ দিন মেয়াদি ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানি করতে গেলে আমদানিকারককে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়।

চালের প্রয়োজনীয়তা বিষয়টি বিবেচনা করে চাল আমদানির খরচ কমাতে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ৯০ দিন মেয়াদি ঋণের সুযোগ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাবেন চাল আমদানিকারকরা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৭)