যশোর প্রতিনিধি : যশোরে ‘স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর’ ঘটনায় সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঢাকা সিআইডিতে কর্মরত আজিজুল হক সবুজ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা এলাকার সরুলিয়া গ্রামের আনারুল হকের ছেলে। আর মৃত মরিয়ম খাতুন পারুলের (৩০) মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কেএম আজমল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি’র উপ-পরিদর্শক আজিজুল হক সবুজের স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এজন্য রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়েছিল। থানায় আসার পর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

জিজ্ঞাসাবাদকালে আজিজুল পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। দুপুরে বাড়িতে ফিরে জানলা দিয়ে ঘরে স্ত্রীকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখেন। এরপর জানলা ভেঙে তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন আজিজুল।

আজিজুল দাবি করেছেন, পারিবারিক কলহের সূত্র ধরে তার স্ত্রী মরিয়ম আত্মহত্যা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজিজুলকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে মরিয়মের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যশোরে সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক সবুজের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন পারুলের (৩০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রাম থেকে নিজের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে মরিয়মের মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন আজিজুল।

আজিজুল দাবি করেন, তার স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পারিবারিক কলহের জের ধরে মরিয়মকে হত্যার পর লাশ ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন বলে নিহতের ভাই জিয়াউর রহমান দাবি করেন।

পারুল যশোর সদর উপজেলার চৌঘাটা গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি থানার পারুলের পিতা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৭)