স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ খুব ভালো করেই জানে যে বেগম জিয়া লন্ডন থেকে ফিরেই সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। আর সেই ভয়েই বেসামাল হয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা একেক জন একেক কথা বলছেন।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক ‘নাগরিক প্রতিবাদ সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল।

খালেদা জিয়ার লন্ডনে যাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা কেউ বলছেন বেগম জিয়া পালিয়ে গেছেন, কেউ বলছেন তিনি আর ফিরে আসবেন না। কিন্তু অতীতে এ দেশ থেকে কারা পালিয়ে গিয়েছিল তাতো ১/১১ সময় আমরা দেখেছি। পালানোর অভ্যাস খালেদা জিয়ার নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সারা বছর নাবালক থাকবেন আর নির্বাচনের সময় বলবেন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা কখনও সম্ভব নয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে দলটির আরেক ভাইস-চেয়্যারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সহায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে শেখ হাসিনার জামানত থাকবে না। এমনকি গোপালগঞ্জ হলেও। এটা আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে পারি।

দুদু বলেন, আজও যদি দেশে সহায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া। আর সেই কারণেই আওয়ামী লীগ বায়না ধরেছে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাকেই থাকতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৭)