স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু  বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা, অবৈধ ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে কর্নেল তাহেরই প্রথম চ্যালেঞ্জ করেন।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাসদের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

৪১তম তাহের দিবস উপলক্ষে জাসদ এ সভার আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া তার পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির পথ পরিষ্কার করতেই ঠাণ্ডা মাথায় কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেন। কর্নেল তাহের হত্যাকাণ্ড একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।’

তিনি বলেন, ‘জিয়া আর কর্নেল তাহেরের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। তাহের বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় ঠেলে দেয়ার বিপরীতে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় পরিচালিত করার জন্য ৭৫’র ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিলেন।’

ইনু বলেন, ‘জিয়া ও তাহেরের যে রাজনৈতিক বিরোধ ছিল, সেই বিরোধ এখনও অবসান হয়নি। বেগম জিয়া ও বিএনপি জিয়ার পাকিস্তানপন্থী রাজনীতি বহন করছে। আর আমরা জাসদ, ১৪ দল তাহেরের মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি বহন করছি।’

পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির চির অবসান করতে হবে মন্তব্য করে ইনু বলেন, ‘রাজনীতির মাঠ থেকে রাজাকারদের বিদায় করতে হবে। রাজাকাররা বাংলাদেশে আর কোনোদিনই ক্ষমতায় আসবে না। রাজাকার মুক্তিযোদ্ধার মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা আর হবে না। সরকারেও মুক্তিযোদ্ধা থাকবে, বিরোধী দলেও মুক্তিযোদ্ধা থাকবে।’

কর্নেল তাহেরের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের পথে, সমাজতন্ত্রের পথে, লড়াই এগিয়ে নেয়ার জন্য জাসদের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ইনু।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।

সভায় ১৪ দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাড. এস কে সিকদার, ন্যাপের সহ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) রেজাউর রশিদ প্রমুখ।

(ওএস/এএস/জুলাই ২১, ২০১৭)