রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির নেতার রাসেল আলমের পা কাটার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্রশিবির। জড়িতদের গ্রেফতারে বুধবার পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দেয় শিবির। এরপরও কাউকে গ্রেফতার না করায় তারা এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

জানা যায়, ধর্মঘটে শিবির নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাশ-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসন কার্যক্রমসহ সব কিছু আগের মতোই চলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। এ ছাড়া শিবিরের এ ধর্মঘট প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘যেকোনো ধর্মঘট ডাকার অধিকার আছে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তা কতোটা গ্রহণ করবে, সেটা ভাবার বিষয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিবিরের ধর্মঘটে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহ (বাস) চলাচল স্বাভাবিক রাখা হবে।’ সব বিভাগে ক্লাশ-পরীক্ষা চালু রাখা হবে বলেও জানান উপাচার্য।

বিশ্বদ্যিালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, ‘শুনেছি শিবির ধর্মঘট ডেকেছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে এখনও আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

এক বিবৃতিতে রাবি শিবির সভাপতি আশরাফুল আলম ইমন বলেন, ‘রাসেল আলমের ওপর চিহ্নিত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করবে।’

মতিহার থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিবিরের যে কোন ধরণের নাশকতা দমনে বৃহস্পতিবার পুলিশ আরো সতর্ক অবস্থানে থাকবে।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের সামনে নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদের ডান পা গোড়ালী থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ছাত্রলীগের কয়েক নেতা-কর্মী। এ সময় তারা ওই শিবির নেতার উরুতে দুই রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।

(ওএস/জেএ/জুন ২৬, ২০১৪)