চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা পাড়ে অবস্থিত পাঁকা, উজিরপুর ও দুর্লভপুর ইউনিয়নে প্রতিবছরই নদী ভাঙ্গন দেখা যায়। নদী গর্ভে বিলীন হয় সরকারি বেসরকারি কাঁচা পাকা স্থাপনা, ভিটাবাড়ী, আবাদি জমি, বাগান, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ জীবনের শেষ ঠিকানা কবরস্থান।

বর্তমানে পদ্মা পাড়ের প্রায় ২০ হাজার পরিবার, ৩০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৭০ টি মসজিদ, ৫ টি হাটবাজার, ৫ টি বিজিবি ক্যাম্প, ৭ টি মন্দির, ৩ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, ২ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, একটি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সহ আরো সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ভয়াবহ হুমকির মুখে রয়েছে। নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে অতিদরিদ্রের কোঠা দিনদিন বাড়ছে।

পল্লী সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে অত্র এলাকায় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবীতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ জুলাই ২০১৭ ইং শনিবার, সকাল ১০ টায় চর পাঁকা হোলদিবোনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন সংস্থা সভাপতি আশফাকুর রহমান রাসেল, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি প্রভাষক হোসনেউল হাইদার বাবু, বিশেষ অতিথি উজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, দাদনচক এইচ এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী এবং তিন ইউনিয়নের ভুক্তভোগীরা।

রাসেল রহমান বলেন, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী শিবগঞ্জ উপজেলা বরাবর আবেদন করলেও প্রায় তিন মাসে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ হতভাগ্য ও বঞ্চিতদের মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবীকে ত্বরান্বিত করতে সবার সাহায্য সহানুভূতি প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের নজির দেখে বিশ্বাস করি, এই করুণ দশা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলেই নিরাপদ বাসস্থানের নিজস্ব ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাবে।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা আবশ্যক। বাঁধ হলেই পদ্মাচর একটি উন্নত গ্রামে রূপান্তরিত হবে। সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ও চোরাচালান তৎপরতা কমবে। অন্তত হাজার হাজার মানুষের নিরাপদ বাসস্থান হবে যা প্রত্যেকের মৌলিক মানবাধিকার।

(এআরএস/এএস/জুলাই ২২, ২০১৭)