সাহিত্য ডেস্ক : কিছু কাজ নিয়মিতই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়, বিশেষ করে সাহিত্যচর্চায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ‘বাংলাদেশ লেখক অভিধান’ সম্পাদনার কাজ শুরু করেছেন কবি, গল্পকার ও গবেষক আহমেদ ফিরোজ। এর আগে তিনি ২০১৬ সালে ‘শূন্য দশকের লেখক অভিধান’ সম্পাদনা করেছেন— যা লেখক ও পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে। বাংলাদেশ লেখক অভিধানের জন্য তিনি সবার সর্বাত্মক অংশগ্রহণ, অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ চেয়েছেন। বিশেষ করে, সব কবি-সাহিত্যিকের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।

জানা যায়, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এদেশের সম্মানিত নাগরিক; এছাড়া যাঁরা বিদেশ যাত্রার ছাড়পত্র বহন করেন— সেসব কবি-সাহিত্যিকের জীবনবৃত্তান্ত ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েই সাজানো হবে ‘বাংলাদেশ লেখক অভিধান’।

এ জন্য প্রয়োজনীয় ২১টি তথ্য পাঠাতে হবে—

১. নাম (ইংরেজি বানানসহ)

২. সার্টিফিকেট অনুযায়ী পুরো নাম

৩. ডাক নাম (যদি থাকে)

৪. জন্মতারিখ, সাল ও জন্মস্থান

৫. পৈতৃক নিবাস

৬. স্থায়ী ঠিকানা

৭. মাতৃনিবাস

৮. বর্তমান ঠিকানা

৯. পিতা ও মাতার নাম

১০. স্ত্রী-স্বামীর নাম (বিয়ের তারিখ ও সালসহ)

১১. বড় ও ছোট কয় ভাই কয় বোন

১২. কয় ছেলেমেয়ে (নাম ও জন্ম তারিখ-সালসহ)

১৩. শিক্ষা (প্রতিষ্ঠান ও ডিগ্রির নাম সালসহ)

১৪. পেশা (সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের নাম ও নিয়োগ স্থানসহ)

১৫. সম্পাদিত পত্রিকা (প্রথম কত সালে প্রকাশিত, এ-পর্যন্ত কত সংখ্যা বেরিয়েছে)

১৬. লেখার বিষয় কি কি

১৭. প্রকাশিত গ্রন্থ (সংখ্যা, বিষয় ও প্রকাশসাল উল্লেখপূর্বক)

১৮. অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও অবদান

১৯. উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ও সম্মাননা

২০. মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল ও ওয়েব ঠিকানা (যদি থাকে)

২১. এক কপি ছবি।

আগ্রহীরা [email protected] বা আহমেদ ফিরোজের ফেসবুক www.facebook.com/ahmed.firoze অথবা www.facebook.com/ahmedfiroze1976 -এর ইনবক্সেও তথ্য পাঠাতে পারবেন। প্রয়োজনে কথা বলতে পারবেন ০১৭১১-০৩১০৮০ নম্বরে। এ ছাড়া নির্ধারিত ছকে ফরম পূরণ করেও তথ্য পাঠানো যাবে।

অভিধান সম্পর্কে আহমেদ ফিরোজ বলেন, ‘এ অভিধানের মধ্যদিয়ে হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের একটি বিশদ ইতিহাস সংরক্ষণ হবে। এমনকি সচেতন পাঠক, লেখক, প্রকাশক এবং গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ সহজ করে দেবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যাঁরা পরলোকগমন করেছেন, তাঁদের বিষয়ে আবশ্যকীয় তথ্য সম্পাদনা পর্ষদ সংগ্রহ করছেন। তবে তথ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সবার সহযোগিতা নেওয়া হবে।’

অভিধানটি ২০১৮ সালের একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হবে। প্রকাশ করবে প্রকাশনা সংস্থা ভাষাপ্রকাশ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৩, ২০১৭)