লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঠিক ঠাক তো রুটিন মেনেই চলছেন। হঠাৎ খুব ক্লান্ত লাগছে? ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ? দিনের পর দিন এসিতে থাকার কারণে বেশ কিছু খারাপ প্রভাব পড়ছে শরীরে। আপনার অজান্তেই এই সব লক্ষণগুলোতে আক্রান্ত হতে পারে শরীরে।

কী ক্ষতি হচ্ছে?

এসি ঘরে স্বাভাবিকের তুলনায় আর্দ্রতা কম থাকার কারণে স্কিনের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। যাদের হাঁপানির সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে, ফলে ঘুম ঘুম ভাব অনুভব হয়। প্রাকৃতিক তাপমাত্রার চেয়ে কম হয় এসি ঘরের তাপমাত্রা। এর জন্য এমন পরিবেশে মানব শরীরকে তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা ধরে রাখার জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হয়। ফলে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। এসি ঘরে থাকা হলে ধমনী বা শিরা সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হয়। এসি শুধু ত্বক নয়, চোখকেও শুষ্ক করে দেয়। এর ফলে চোখে চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া – প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি হয়। দিনে অন্তত চার ঘণ্টা এসি ঘরে থাকা যাদের অভ্যাস, তাদের সাইনাসের সমস্যা দেখা দেয়।

এসি ঘরে থাকলে হাঁটু, কোমর, কনুই কিংবা ঘাড়ের কার্যকারিতাও প্রভাবিত হয়। সাধারণত শরীরের সমস্ত জয়েন্টে এসির হাওয়ার প্রভাবে যন্ত্রণা দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে মানুষের কর্মক্ষমতা গ্রাস করে।

প্রতিকার :

আপনার অফিসের এসিটা তো বন্ধ করে রাখতে পারবেন না , তাই চেষ্টা করবেন ঘরে যতটুকু থাকছেন এসি ব্যবহার না করতে। অনেকে এসি ব্যবহারটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। তাই একটু সচেতন হউন। আর শুধু গরম বেশি পরলেই এসি ব্যবহার করুন।

এসিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার ফলে আপনার স্ক্রিন শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে একজন ডার্মাটলজিস্ট বলেন, এসিতে বসে যারা সারা দিন কাজ করে তারা অবশ্যই মুখ, হাত, পা, গলা, কনুইতে ময়শ্চারাইজার লোশন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এসির শুষ্ক ভাবটা কিছুটা দূর হবে।

অফিসে যেখানে বসে কাজ করবেন, অবশ্যই একটা পানির পট সাথে রাখুন। কারণ আপনার শরীরে যে পানির ঘাটতি তৈরি হতে থাকে তা পূরণ করতে আপনি পানি রাখেন সাথে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৩, ২০১৭)