ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে পুলিশের তৎপরতায় সংঘবদ্ধ ৭ জন চোরকে পুলিশ সোনাসহ আটক করেছে। এসময় ক্রেতা দোকান কর্মচারীকেও গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ১৫-২২ বছর বয়সের এ্ই সংঘবদ্ধ চোরের দল বাসা-বাড়ী ফাঁকা পেয়ে সোনা, টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে আসছিল। দীর্ঘদিন এই টিনেজ চোরেরা অপকর্ম চালালেও এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল।

গত ১৭ই জুলাই সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়ার শালবাগানের পাশের একটি বাড়ি হতে এরা স্বর্ণালংকার চুরি করলে বাড়ির মালিক ওবাইদুর রহমান বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) জহুরুল হক থানার এসআই কামরুল ও রফিককে নিয়ে অভিযান শুরু করে।

এ ঘটনায় পুলিশ নূরমহল্লার বস্তিপাড়ার একটি বাড়ি হতে শুক্রবার রাতে প্রথমে সবুজ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। সবুজের তথ্য অনুযায়ী ফতেহমোহাম্মদপুর হতে নূর মোহাম্মদকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এরা দুজনেই সোনা চুরি ঘটনা স্বীকার করে এবং জড়িতদের নাম বলে দেয়। পরে পুলিশ একে একে শুকচাঁদ আলী, আনারুল, আব্দুস শান এবং সাগরকে গ্রেফতার করে।

চোরেরা জানায়, এই স্বর্ণ তারা শহরের মুক্তা জুয়েলার্সের কর্মচারী সুপ্ত কর্মকারের নিকট বিক্রি করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার চুরিকৃত প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার এবং সুপ্ত কর্মকারকে গ্রেফতার করে।

দোকান মালিক দুলাল কর্মকার জানান, চুরির স্বর্ণ কেনার আমি ভারতে ছিলাম এবং শুক্রবার রাতেই আমি দেশে ফিরেছি, এসব কেনা-বেচার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। রবিবার আসামীদের পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশের তৎপরতায় দীর্ঘদিন পর এই চোরের দল আটকের ঘটনায় বাদী ওবাইদুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, পুলিশের এই তৎপরতায় দীর্ঘদিন পর ঈশ্বরদীর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

(এসকেকে/এসপি/জুলাই ২৩, ২০১৭)