স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুশদ ফরিদীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য  বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাবির উপাচার্য (ভিসি), উপ উপাচার্য (প্রোভিসি) শিক্ষা, উপউপাচার্য প্রশাসন, রেজিস্ট্রার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাবির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সঙ্গে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবির।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, ঢাবির আইনে কোনো শিক্ষককে ছুটিতে পাঠাতে সিন্ডিকেটের কোনো এখতিয়ার নেই। তবে শুধু আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পারেন কোনো শিক্ষককে তিন মাসের ছুটিতে পাঠাতে।

তিনি জানান, গত ১২ জুলাই সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক ড. রুশদকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন তাকে চিঠির মাধ্যমে সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ছুটিতে থাকাকালীন তিনি সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

পরে এ বিষয়ে গত ১৬ জুলাই সংশ্লিষ্টদের একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুশদ ফরিদীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তারা নোটিশের জবাব না দেওয়াই ২০ জুলাই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। ওই রিটের শুনানি করে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৪, ২০১৭)