স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার এখনো ব্যবস্থা নিতে না পারায় লজ্জাবোধ করলেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

শুক্রবার রাজধানীর গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত ভাষা সৈনিক মহিউদ্দিন আহমেদ ও মোহম্মদ আব্দুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ লজ্জাবোধ করেন।

খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারতের কোনো পত্রিকায় সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের খবর প্রকাশিত হয় না। কিন্তু আপনারা ফেরারি আসামি তারেক রহমানের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেন। যেভাবে তার বক্তব্য প্রকাশিত হয় তা আইনসিদ্ধ নয়।’

তিনি বলেন, ‘যদি আমাকে আপনারা প্রশ্ন করেন, মন্ত্রী পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না- এর জবাবে বলব, ‘আমি লজ্জিত’। আমি লজ্জাবোধ করছি, কেন একজন ফেরারি আসামির বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গত ৮ এপ্রিল লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’। এর আগে ২৫ মার্চ লন্ডনের এক হোটেলে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন তারেক।

কামরুল বলেন, ‘অনেকেই বলছেন- তারেক রহমান পাগল ও বালক। কিন্তু আমি বলব সে পাগল নয়, বরং তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। ২০১৩’র শেষে বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করেছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য তথ্য ও বাক সন্ত্রাস শুরু করেছে।’

‘বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে দিলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে সামনে ঘোর অমানিশার অন্ধকার নেমে আসবে। এখনই সময় এই বাক সন্ত্রাস বন্ধ করার, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়ার।’

তথ্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই তথ্য ও বাক সন্ত্রাস এবং মিথ্যাচার খতিয়ে দেখে অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হোক।’

জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, কৃষক লীগের সহ সভাপতি এম এ করিম প্রমুখ।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১১, ২০১৪)