গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ভিক্ষার থলি (টাকা) ছিনতাই করতেই বাকপ্রতিবন্ধী ভিক্ষুক মোরশেদ আলীর গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে হিমেল। আসামি হিমেলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মঙ্গলবার রাতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও নিহত মোর্শেদের টাকার থলে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বুধবার ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত শাহীন ও হিমেলকে গ্রেফতার করে গৌরীপুর থানা পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সরাসরি বর্ণনা দিয়েছে।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ বলেন, গ্রেফতারকৃত শাহীন ও রিপনের বাড়ি ভাংনামারী ইউনিয়নে। তাদেরকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, ভাংনামারী ইউনিয়নের টেংগুরীকান্দা গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিনের পুত্র বাকপ্রতিবন্ধী মোরশেদ আলী (৩৫) কখনো কুলির কাজ আবার কখনো ভিক্ষা করে জীবিকা নিবার্হ করতেন। উপার্জিত অর্থ একটি থলেতে ভরেই সবসময় চলাচল করতো। সেই টাকার থলে ছিনতাই করতেই সোমবার বাড়ি ফেরার পথে বয়রাবাজার এলাকায় গলায় ছুরি চালিয়ে হিমেল তাকে জবাই করে। জবাই করার পরেও গলাকাটা অবস্থায় মোরশেদ আলী দৌড়ে কিছুদূর যায়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে নিহতের ভগ্নিপতি বারুয়ামারী গ্রামের মৃত কুশন আলীর পুত্র আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে মঙ্গলবার গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

(এসআইএম/এএস/জুলাই ২৬, ২০১৭)