যশোর প্রতিনিধি : অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করায় কথিত স্বামীর বন্ধুদের গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। এ ঘটনায় আদালতে মামলার পর পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে ওই কিশোরী ও তার পরিবারকে।

শুক্রবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান ঘটনার শিকার কিশোরীটি। তার বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামে।

সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটি জানায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে একই গ্রামের বজলুর সরদারের ছেলে জনি সরদারের সঙ্গে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর গোপনে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে মেয়েটি বাবার বাড়িতে থাকলেও তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়। এসময় মেয়েটি তাকে বাড়িতে তুলে নিতে স্বামী জনিকে চাপ দেন। কিন্তু জনি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ গত ৭ জুলাই একই এলাকার সাইফার শেখ ওই মেয়েটিকে জনির নওয়াপাড়া বাজারে ‘আল সেলিম’ হোটেলে আসতে বলেন। সেখানে নিয়ে জনির বন্ধু সাইফার, সুমন, আজিম ও রুবেল তাকে জোর করে গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পর মেয়েটি অভয়নগর থানায় মামলা করতে যায়। তবে থানায় মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে মেয়েটি ২৫ জুলাই যশোর আদালতে একটি মামলা করে। এই মামলা করায় জনি ও তার বন্ধুরা বর্তমানে মেয়েটি ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

এজন্য তারা বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মেয়েটি তার অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় দাবি করেন। একই সঙ্গে তার সাথে ‘বিয়ের নাটক’ সাজানো, গণধর্ষণ করা তার বন্ধুদেরও বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে মেয়েটির মাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৭)