বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী জাফর জোমাদ্দার হত্যা মামলায় আদালত দুই ভাইসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত এসময় ওই মামলার দায় থেকে পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আবজাল খান ছাড়া দণ্ড প্রাপ্ত অপর সাত আসামি পলাতক রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, হাবিব হাওলাদার ও তার ভাই মোস্তফা হাওলাদার, বেল্লাল ফরাজী, শহীদ মল্লিক, আলী আজিম ফরাজী ও লাভলু খান। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সব আসামিই পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, আবজাল খান ও আনসার আকন। এদের মধ্যে আনসার আকন পলাতক রয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রাপ্ত দুই আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সবার বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
নিহত চিংড়িঘের ব্যবসায়ী জাফর জোমাদ্দার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বহরবুনিয়া গ্রামের জয়নাল জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবারণে জানা গেছে, চিংড়িঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ২০০৩ সালের ১৫ জুলাই দুপুরে বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া গ্রামের সূর্যমুখী খালের পূর্ব পাড়ে চিংড়িঘের এলাকায় জাফর জোমাদ্দারকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে হত্যাকারীরা তার লাশ ওই চিংড়িঘেরে ফেলে দেয়। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন ১৬ জুলাই ১৩ জনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাগেরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তৎকালিন পরিদর্শক আব্দুল মতিন তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ ১৩ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চিংড়িঘের ব্যবসায়ী জাফর হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১১ বছর পর আদালতে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।
খালাস প্রাপ্ত পাঁচজন হচ্ছেন, আবুল হাওলাদার, আলম ফরাজী, লোকমান ফরাজী, জয়নাল ফরাজী ও আলী ফরাজী।

(ওএস/এএস/জুন ২৬, ২০১৪)