নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কৃষ্ণারডাঙ্গি গ্রামে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা উচ্ছেদের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ঐ সংখ্যালঘু পরিবার জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে সহায়তা কামনা করে আবেদন করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার ১২৭ নং কৃষ্ণারডাঙ্গী মৌজার ৪৬২ খতিয়ানে ১২২ ও ১২৩ দাগের ৩৭ শতাংশ জমির বাড়ী তৈরী করে বসবাস করছেন মৃত্যু ধীরেন্দ্র নাথ সাহার পুত্র শংকর কুমার সাহা। উক্ত জমিটি তার নিজ নামে রেকর্ড হয়েছে। সম্প্রতি উক্ত জমির উপর নজর পড়ে এলাকার প্রভাবশালীদের। শংকরের চাচাতো ভাই সুদাম সাহা স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেই ভারতে গিয়ে বসবাস শুরু করে। এলাকার প্রভাবশালীরা ভারতীয় নাগরিক সুদাম সাহাকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের নাগরিক বানিয়ে উক্ত জমি দখলের পায়তারা করছে।

ভুক্তভোগী শংকর সাহা বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকেই আমরা এই বাড়ীতে বসবাস করছি। আমার কাকাতো ভাইয়েরা স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেই ভারতে চলে যায়। যাওয়ার আগে সমস্ত জমি আমার নিকট বিক্রি করে যান। এলাকার প্রভাবশালী ভাগরথ সাহা উরফে ভগা সাহার নেতৃত্বে আমার বাড়ী দখল করার জন্য আমার ভাইকে ভারত থেকে এনে বাংলাদেশে অবৈধ নাগরিক বানিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে।

এ ব্যাপারে সুদাম সাহা ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটারের প্রমানপত্র সহ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শংকর সাহা । জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। সুদাম সাহা বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার অযোগ্য বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। সুদাম সাহা, পিতা মৃত্যু প্রফুল্ল সাহা ভারতীয় নাগরিক যাহার ভোটার নং ৬৮২, ডব্লিউ বি-১২-০৭৭-৩৮৪৫৭৪, ভোট কেন্দ্রের নাম-৮৪ নবদ্বীপ সাধারন, থানা- নবদ্বীপ, মহকুমা, জেলা নদীয়া। সম্প্রতি সে বাংলাদেশে ভোটার হয়েছে যাহার ভোটার নং ২৯০৮৩৪০০০২৮৮ গ্রাম কৃষ্ণারডাঙ্গী, ওয়ার্ড নং-২ রামনগর ইউনিয়ন, উপজেলা নগরকান্দা, জেলা ফরিদপুর।

এ ব্যপারে ভগিরত সাহা বলেন শংকরকে বলেছিলাম সুধাম সাহাকে কিছু টাকা দেওয়ার জন্য কিন্তু ও তাতে রাজি না হওয়ায় উক্ত জায়গা দখল করার জন্য সুধামকে বাংলাদেশে ভোটার করা হয়েছে।

রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ কুদ্দুস ফকির বলেন, সুদাম সাহা অনেক আগেই ভারত চলে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের খানার তালিকায় তার কোন নাম নেই। স্বাধীনতার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক্স পরিশোধের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।

(এনএস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০১৭)