ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ভাঙ্গায় গ্রেফতারকৃত আসামি নওরোজ জমাদ্দারকে(৬০) ফরিদপুর আদালতে নেওয়ার সময় ভাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ সম্পাদক সাহাদাত হোসেনের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওসি ও উপজেলার চেয়ারম্যান মুখোমুখি অবস্থানে। ভাঙ্গা থানার ওসির অপসারন দাবি করে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান। আবার উপজেলার চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি করে ভাঙ্গায় মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রাম থেকে পুলিশ ভাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যানের সমর্থক নওরোজ জমাদ্দারকে গ্রেফতার করেন। সকাল ১১ টার দিকে নওরোজকে পুলিশ ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর আদালতে নেওয়ার জন্য রওনা হয়।
ভাঙ্গা থানা ফটকের কয়েক গজ দূরে আসলেই পুলিশের গাড়ির সাথে উপজেলার চেয়ারম্যানের গাড়ি মুখোমুখি হয়। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান গাড়ি থেকে নেমে আসামি চালান না দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলে। এই নিয়ে পুলিশের সাথে তর্কবিতর্ক হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছূটে আসেন। এসময় উপজেলার চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়ে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান,
সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুজ্জামান,রাজ্জাক ফকির প্রমুখ।
এর কিছুক্ষন পরে দুপুর দেড়টার দিকে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলামের অপসারন দাবীতে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশ করেন ভাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন। তিনি সমাবেশে বলেন, নওরোজকে পুলিশ বিনা কারনে গ্রেফতার করেছে। তিনি ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ দাবি করেন। তিনি ওসির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, ওসিকে অপসারন না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি কোন দুর্নীতি ও অনিয়ম করি না। সুনির্দিষ্ট প্রতারনামূলক মামলার আসামি হিসেবে নওরোজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
(এডি/এএস/জুন ২৬, ২০১৪)