মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দেয়া ও কারচুপির অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নির্বাচন বর্জণের ঘোষণা দিয়েছেন ১৯ দল সমর্থিত চেয়ারম্যান পদের জামায়াত প্রার্থী কাজী আবুল বাশার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তানিয়া সুলতানা লাইজু।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। চরমুগরিয়া এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কার্যালয়ে দুপুর দেড় টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
তবে ১৯ দল সমর্থিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম তুষার ভূইয়া নির্বাচন বর্জন করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াতের নেতা কাজী আবুল বাশার বলেন, সকাল ৯টার পর থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খানের লোকজন তার এজেন্টদের বের করে দেয়। কয়েক জায়গায় কর্মী-সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। এমনকি তার বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে বলেও তিনি এসময় অভিযোগ করেন।
এসময় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তানিয়া সুলতানা লাইজুও নির্বাচন বর্জণের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক আবু মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জামিনুর হোসেন মিঠুসহ ১৯ দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর ১৯ দলীয় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হতে দেখা যায়।
অপরদিকে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। তবে প্রায় কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১১৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রশাসন থেকে ধরা হয়েছে। তবে প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বশেষ সেনা মোতায়েন ব্যবস্থা করা হয়। গত দু’দিন ধরেই মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও বিজিবি টইল দিতে দেখা গেছে। ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলাদা আলাদাভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন।
মাদারীপুর পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর সদর উপজেলায় ২ লাখ ৩১ হাজার ৪৮৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৩৩৩ জন ও মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ জন।
(এএসএ/এএস/জুন ২৬, ২০১৪)