স্টাফ রিপোর্টার : দেশে সাম্প্রতিক সময়ের নৃশংসতম সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে ফেরত চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত ভারতীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠককালে এই আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি এসময় ভারতের কাছে নূর হোসেনসহ অন্য যেসকল বাংলাদেশি দেশে অপরাধ সংগঠনের পর ভারতে পলাতক কিংবা আটক রয়েছেন তাদের ফেরত চান।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টি তার দেশের সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

প্রায় এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ক্রম অগ্রসরমান সুসম্পর্ক সৃষ্টির ওপর জোর দেন সুষমা স্বরাজ। দ্বি-পাক্ষিক আন্তরিক আলোচনার মধ্যদিয়ে যে কোনো বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধান নিশ্চিত করার পক্ষেও তার সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস মোকাবেলায় তার সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করেন। তিনি প্রতিবেশি দেশের বিরুদ্ধে কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতায় বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, এমন সিদ্ধান্তে তার সরকারের অটল অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৪ জুন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার উপকণ্ঠে বাগুইহাটির কৈখালির ইন্দ্রপ্রস্থ ‍অ্যাপার্টমেন্ট থেকে দুই সঙ্গীসহ গ্রেফতার হন নূর হোসেন। এর পর থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নূর হোসেন তার পরিচয় জানায়। জেরায় নূর হোসেন স্বীকার করেন, তিনি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলায় অভিযুক্ত।

গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের পর খুন করা হয়। ৩০ এপ্রিল ছয়জনের এবং পরদিন আরো একজনের লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠে।

সাত খুনের ওই ঘটনার পর নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যান। নূর হোসেনকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের তরফ থেকেও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ

(ওএস/এটিআর/জুন ২৬, ২০১৪)