মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। যে দ্বীপে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষের বসবাস। দ্বীপটিতে যেমনি রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা ঠিক তেমনি রয়েছে হাজারো সমস্যা। অন্যতম প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে যাতায়াত সমস্যা হচ্ছে একটি। দ্বীপটিতে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও যাতায়াত সমস্যার কারণে তা দেশ ও সরকারের তেমন কোন কাজে আসছেনা!

হাতিয়া উপজেলার প্রধান সড়কের একাংশ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় সবকটি সড়কের অবস্থা বড়ই বেহাল। ক্রমশঃই বাড়ছে জনদুর্ভোগ, যার যেন অন্ত নেই। সংস্কারেও নেই কোন অগ্রগতি। ৭০ বছরে স্থানীয় এক মহিলা আক্ষেপ করে বলেন" বাবারে আমাদের দুর্গতিই এখন গতি, কাকে বলবো কেউ হুনেনা আঙ্গো কস্টের কথা, কেউ দেখিও দ্যাখেনা"

খানাখন্দে ভরা দ্বীপের বেশ কিছু রাস্তা পরিণত হয়েছে ‘মরণ ফাঁদে’। প্রতিদিন এসকল রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।দেখলে মনে হবে মিনি পুকুর। কিছু কিছু জায়গায় কোনদিন পিচ ছিল বলে মনে হয় না। এ অবস্থায় যানবাহন চলাচলে সড়ক অনুপযুক্ত হয়ে পড়লেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায়শঃই এসব গর্তে পড়ে ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।

এদিকে পিচ না থাকায় এই রাস্তাগুলো শুষ্ক মৌসুমে পরিণত হয় ধুলোর রাজ্যে আর বর্ষার মৌসুমে পরিণত হয় কাদার বাগাড়ে। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসেও মারাত্মক কষ্ট হয়। উপজেলার সরকারি- বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিঝুমদ্বীপ দেখতে আসা দেশ বিদেশের পর্যটকরা প্রতিদিন এ রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করেন। রাস্তাগুলো করুণ দশার কারণে নির্ধারিত সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে বেগ পোহাতে হয়। এ অবস্থায় বিড়ম্বনার শিকার হন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।

জনপ্রতিনিধিদের বহু আশ্বাসের পরেও এখনো পর্যন্ত দ্বীপের প্রধান সড়ক ও শাখা প্রশাখা সড়কগুলোর সংস্কার কাজ না হওয়ায় দ্বীপের জনসাধারণের ক্ষোভ ও অভিযোগের কমতি নেই।জনদূর্ভোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্যান্য শ্রেণী পেশাজীবী মানুষ।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৭)