স্টাফ রিপোর্টার : বাজেট অধিবেশন চলা অবস্থায় সংসদে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুপস্থিতির সমালোচনা করেছেন প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, এটা বাজেট অধিবেশন। কিন্তু এখানে অর্থমন্ত্রী নাই। শুনছি একটা প্রতিমন্ত্রীও বানাইছে। সেও নাই। পরিকল্পনামন্ত্রীও নাই। তাইলে কিসের বাজেট অধিবেশন? আমরা যে বক্তব্য দিচ্ছি তার নোট কে নিবে? সব কি বায়বীয়? আমরা বাজেট পাস না করলে উনি টাকা পাবেন কোথায়?’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘আরও একজন ফাইন্যান্স মিনিস্টার আছে, উনি স্টেট মিনিস্টার। প্লানিং মিনিস্টারও নাই, ফিসকেল মিনিস্টারও নাই। উনি ২৩ তারিখে গেছেন, আজ ২৬ তারিখ। এখনও আসেন নাই। আজ রাতে হয়তো তাড়াতাড়ি করে আসবেন। মেইন নায়ক নাই। বাজেট আলোচনাই করব অর্থমন্ত্রীর লগে।’

তিনি বলেন, ‘আপনি (অর্থমন্ত্রী) ভেবে দেখেছেন একটি টাকাও পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়া খরচ করতে পারবেন না। আজ যদি পার্লামেন্ট বাজেট পাস না করে তাহলে আপনি কীভাবে টাকা খরচ করবেন?।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি উনি (অর্থমন্ত্রী) আইডিবি ব্যাংকের ডোনার কান্ট্রির গভর্নর। সাবেক ইআরডি সচিব, বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব সেও জেলে যাইতে পারত। আরও ফাইনান্স মিনিস্টার আছে স্ট্রেট মিনিস্টার। সেও সদস্য আরেকটা স্টেট মিনিস্টার। বাজেট দিয়ে সংসদে প্লানিং মিনিস্টার আছেন। উনি নাই ফিসকেল মিনিস্টার স্টেট মিনিস্টারও নাই। ফিসকেল মিনিস্টার, আপনি হেমলেট স্টেজ করবেন প্রিন্স অব ডেনমার্ক থাকবে না- এইটা কোনো দিন হয়?’

প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল কে, খালেদা জিয়া? খালেদা জিয়া যখন ছিলেন তখন ৪৫ দিন হরতাল দিয়েছেন। জাতীয়ভাবে এই হিসাব হলেও স্থানীয়ভাবে ১৪৫ বার হয়েছে। তারপরেও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত ও সাংঘর্ষিক রাজনীতি নিয়েই এগুতে হবে। অতীতের মতো আগামীতেও বাজেট যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হবে।’

(ওএস/এটিআর/জুন ২৬, ২০১৪)