রাজন্য রুহানি, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ি গ্রামে স্কুলছাত্রী দুই বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সকাল ১০টায় লাশ উদ্ধার করেছে জামালপুর থানা ও নারায়ণপুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ। নিহত স্কুলছাত্রী দুই বোনের নাম ভাবনা আক্তার (১৫) ও লুবনা আক্তার (১০)।

ভাবনা তিতপল্লা ইউয়িনের মান্নাফিয়া রহিমা কাজেম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে এবং লুবনা আক্তার স্থানীয় মতিউর রহমান একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকা- হতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারনা। নিহতদের মা তাসলিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, নিহত দুই বোনের মা মোছা. তাসলিমা বেগম আড়াই বছরের এক কন্যাশিশুকে নিয়ে জামালপুর শহরের বাগেরহাটা বটতলায় বাবার বাড়িতে আসেন। ভাবনা ও লুবনাকে বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। নিহতদের বাবা মো. শামীম হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। সকাল ৮টার দিকে তাদের ঘরের দরোজা খোলা ও রক্তের ধারা দেখে পুলিশকে খবর দেয় পবিরারের লোকজন। খবর পেয়ে জামালপুর থেকে মা তাসলিমা বেগম ঘটনাস্থলে গেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ। নিহতদের মরদেহের পাশে পড়ে থাকা রক্তমাখা একটি কেচি জব্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের অংশীদারদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল বলে জানিয়েছেন নিহতের নানা মো. তায়ে ও নানি রাশেদা বেগম।

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েই সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাই আমরা। যে ঘরে স্কুলছাত্রী দুই বোনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে সে ঘরের দরোজা ভিতর থেকে খোলা ছিল। মরদেহের বিছানার পাশে একটি রক্তমাখা কেচি পড়ে ছিল। এটা জমি সংক্রান্ত পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে নাকি ধর্ষণের পর হত্যা, বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর বুঝা যাবে।

পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহ বেঞ্চের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

(আরআর/এএস/আগস্ট ০২, ২০১৭)