নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার, ঈশ্বরগঞ্জ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্যাপকভাবে বাড়ছে কোয়েল পাখির খামার। খুব কম বয়সে ডিম পাড়া, অল্প জায়গায় অধিক সংখ্যক পালন, দ্রুত বৃদ্ধি , রোগ বালাই কম ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ার কারণে কোয়েল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে খামারিরা। অন্যদিকে কোয়েলের মাংশ ও ডিম বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ার কারণে খাদ্যের তালিকায়ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কোয়েল পাখির মাংশ ও ডিম। মাংশ উৎপাদনের জন্য ব্রয়লার ও ডিমের জন্য লেয়ার পালন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খামার ভিত্তিক ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় খাঁচায় ছোট আকারে পাখি পালন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

খামারিরা জানান, ৪০দিন পালনের পর ডিম আসে এবং একনাগারে ১৩-১৪ মাস ডিম দেয়। ডিম দেওয়া শেষ হলে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পিস বিক্রি করা যায়। তবে গ্রামাঞ্চলে পাখি পালনে সবচেয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ। কারন প্রাথমিক অবস্থায় বাচ্চদের তাপ দিতে হয় পর্যাপ্ত পরিমানে। তবে কোয়েল পাখি পালনে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হলে পাখি পালন আরো বাড়বে বলে তারা মনে করেন।

উপজেলার সবচেয়ে বড় খামারের মালিক উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মিজানুর রহমান তরুন বলেন,সরকারের পক্ষ থেকে খামারের নিবন্ধন, ঋণের ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হলে এ খাত থেকে প্রচুর পরিমাণ মুনাফা অর্জন সম্ভব।

ভেটেনারি ফিল্ড এ্যাসিসটেন্ট সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ে খামারিদের কোয়েল পাখি পালনে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে।

কোয়েল পাখি পালন সম্পর্কে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আহাদ জানান, কোয়েল পাখি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা তাই এ ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। আর খামার রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

(এনআইএম/এএস/আগস্ট ০৫, ২০১৭)