হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে বসতি স্থাপনকারি সাঁওতালদের পুলিশি উচ্ছেদ অভিযানকালে গত বছরের ৬ নভেম্বর ঘরবাড়ি এবং অন্যান্য মালামাল লুট হয়ে যায়। এসময় স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ওই লুটপাটের সাথে জড়িত হয়। সাঁওতালদের লুট হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে তারা গোবিন্দগঞ্জ থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে নামে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)।

তারা উপজেলার সাপমারা ও কাটাবাড়ি ইউনিয়নের কটিয়াপাড়া ও কামারপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় ওই দুটি গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে ১১ বান্ডিল ঢেউটিন উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পিবিআই সুত্র জানায়, অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে পুনঃরায় অভিযান চালানো হবে।

গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে পিবিআই সদস্যদের একটি দল কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কটিয়াবাড়ী ও সাপমারা ইউনিয়নের কামারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তাদের এ অভিযান চলে।

তিনি আরও জানান, গত ৬ নভেম্বর সৃষ্ট ঘটনার সময় শ্যালো মেশিন, ঘরের টিন, সহ বেশ মালামাল লুটপাট হয় বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। সেই মালামাল উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ঢেউটিন উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ নভেম্বর রংপুর চিনিকলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি দখল করে সাঁওতাল ও এলাকার কয়েক শ’ লোক ঝুপরি ঘর নির্মাণ করে। তারা বাপ-দাদার সম্পত্তির দাবিদার হিসেবে ওইসব জমি দখল করে নেয়। পরবতীতে চিনিকল কর্তৃপক্ষের আখ বীজ কাটাকে কেন্দ্র করে চিনিকল শ্রমিক কর্মচারি ও পুলিশের সাথে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়।

এসময় সাঁওতালদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃংখল দুর্বৃত্ত অংশ নেয়। ওই সংঘর্ষে ৩ সাঁওতাল নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। এসময় সাঁওতালদের অস্থায়ী ঘরবাড়ি উচ্ছেদের সময় সেখানে আগুন লাগানো ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সাঁওতালদের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত ২টি মামলার আলামত হিসেবে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার অভিযানে নামে পিবিআই।

(এলএইচবি/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৭)