ডেস্ক রিপোর্ট : একটা সময় ছিল, যখন বিবাহ মানেই সেটাকে ধরে নেয়া হতো চিরকালের বন্ধন। কিন্তু কালের আবর্তে এখন অনেক কিছুই বদলে গেছে।, এবং দুঃখজনক হলেও সত্যি যে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে ডিভোর্সের হার। একটা সময় হয়তো মানুষ নিরুপায় হয়েও সংসার করতো, এখন আর সেটা সম্ভব নয়। তাই বিচ্ছেদ এড়াতে নিজের দাম্পত্য জীবনের প্রতি হতে হবে খুবই যত্নশীল। জেনে নেয়া যাক একটি দীর্ঘস্থায়ী ও সুখী দাম্পত্যে রক্ষা করতে ৬টি বিষয়।

১. মনের যোগাযোগ : বর্তমান সময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদগুলো ঘটছে তার মূল কারণ হল তারা মনের দিক থেকে যোগাযোগ রক্ষা করতে ব্যর্থ। মানুষের সামগ্রিক বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে মন বা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্রেন। একটা মনের সাথে আরেকটি মনের মিল হলেই প্রেম হয় আর তা থেকেই বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর যদি সেই দুই মনের মানসিক যোগাযোগটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বিবাহিত জীবনটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে না। তাই আপনি আপনার বিবাহিত জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে দুজনের মনের যোগাযোগটা ঠিকমত হচ্ছে কি না তা খেয়াল করুন এবং যোগাযোগটি ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

২. মর্যাদা এবং সম্মান : একটি সম্পর্ক তখনই স্থায়ী হবে যখন দুজন দুজনকে সম্মান করবে, মর্যাদা দেবে। সম্পর্কে কেউ কারও চেয়ে বড় না। দুজনকেই সমান মর্যাদায় সমান ভালোবাসায় বিবাহিত জীবনটি অতিবাহিত করতে হবে। প্রিয় মানুষটির কথার, মতামতের মূল্যায়ন করতে হবে। তার সামগ্রিক বিষয়কে অর্থাৎ তাকে সম্মান করতে হবে তাহলে বিবাহিত জীবনটি দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব।

৩. আপস করার মানসিকতা : বিবাহিত সম্পর্কটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে দুজনার মাঝেই আপস করার মানসিকতা থাকতে হবে। ঝগড়া হলে যদি দুজনাই রাগ হয়ে কেউ কারও সাথে আগে কথা না বলে তাহলে সম্পর্কটির মধ্যে ফাটল ধরা শুরু করবে। তাই দুজনার মাঝেই আপস করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। তাহলে সম্পর্কটিকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

৪. আর্থিক স্বচ্ছতা এবং স্বাধীনতা : বিবাহিত জীবনে আর্থিক স্বচ্ছতা বিষয়টি খুবই জরুরি। পৃথিবীর সকল কিছুর মূলে অর্থ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে একটি সংসার যদি আর্থিকভাবে স্বচ্ছ না হয় তাহলে সংসারটি টিকিয়ে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়ে। পাশাপাশি আর্থিক স্বাধীনতাটিও গুরুত্বপূর্ণ। দুজনারই আর্থিক স্বাধীনতা অর্থাৎ নিজের ইচ্ছামত খরচ করার স্বাধীনতা থাকতে হবে। তাই বিবাহিত জীবনের স্থায়িত্বের জন্য সংসারে আর্থিক স্বচ্ছতা বা স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করুন। এক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়েই চাকরি করতে পারেন।

৫. সামাজিক ও আইনসম্মতভাবে বিয়ে করা : বিয়ের জীবনটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে আইনসম্মতভাবে বিয়ে করুন। একই সাথে সামাজিক ভাবেও। অর্থাৎ হৈহল্লা করে সকলকে জানিয়ে সুন্দর করে করুন বিয়ের ব্যাপারটি। এতে রাগের মাথায় চাইলেই বিবাহ বিচ্ছেদ খুব সহজে হবে না। বিবাহিত জীবনটি দীর্ঘস্থায়ী হবে।

৬. ভালোবাসটিকে ধরে রাখুন : বিবাহিত জীবন ভালোবাসার সম্পর্ক। এই জীবনে ভালোবাসার উপস্থিতি অনেক বেশি। দিনদিন এই ভালোবাসাকে দ্বিগুণ করার চেষ্টা করুন। কোনো মন্দলাগাকে আশ্রয় না দিয়ে ভালোবাসুন আরও বেশি করে। কখনই আপনাদের সাংসারিক জীবন থেকে ভালোবাসাটুকুকে হারিয়ে যেতে দেবেন না তার পরিবর্তে এটি বাড়িয়ে তুলুন।

(ওএস/এইচআর/জুন ২৭, ২০১৪)