আহম্মদ ফিরোজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদলের আসন্ন কমিটিতে মাদকমুক্ত নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে আট ছাত্রনেতার মূত্র পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফর নিজ ব্যয়ে এ পরীক্ষা করান। এতে আটজনের মধ্যে দু’জনের পরীক্ষার রিপোর্ট নেতিবাচক ও অন্যদের ইতিবাচক ফলাফল এসেছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।

ছাত্রদলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে হলে তাকে অবশ্যই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে এবং মাদকমুক্ত থাকতে হবে। এজন্য বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদলের তিনটি গরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী আটজন তরুণের মুত্র (ইউরিন) সংগ্রহ করা হয়। এরা হলো, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতির পদ প্রত্যাশী ওয়ালিদ মুরছালিন ওরফে তুলিপ ও হাসান সালেহ রুবেল, সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী মো. পিকুল মিয়া, বয়োজিত খান রাব্বি ও আনিচুজ্জামান তপু, পৌর সভাপতি পদ প্রত্যাশী মো. আশিক ও রনি মিয়া ও সরকারি বোয়ালমারী কলেজ শাখার সভাপতি পদ প্রত্যাশী মাহফুজ মিয়া।

তবে এ পরীক্ষায় কারা উত্তীর্ণ এবং কারা অনুত্তীর্ণ হয়েছে তা বলতে রাজী হননি বিএনপি নেতা শাহ মো. আবু জাফর। শাহ জাফর বলেন, দল করতে হলে তাকে শারীরিক ভাবে সুস্থ ও মাদকমুক্ত থাকতে হবে। এজন্য পদ প্রত্যাশীদের মূত্র ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। যারা নিরোগ ও মাদকমুক্ত বলে প্রমাণিত হবে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ শুধুমাত্র তাদেরকেই দেওয়া হবে।

শাহ জাফর জানান, মূত্র পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যাচ্ছে আট তরুণের মধ্যে ছয় তরুণ মাদকমুক্ত। তবে দুজনকে পাওয়া গেছে মাদকসক্ত। কবে কোন ছয় তরুণ পাশ ও কোন দুই তরুণ ফেল করেছেন তাদের নাম বলতে রাজি হননি বিএনপির এই নেতা।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরিজ এ ব্যাপারে বলেন, এটি একটি নিন্দিনীয় কাজ। বোয়ালমারীর ওই নেতার প্রকারান্ত বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি করার দায়িত্ব জেলা ছাত্রদলের বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

অবশ্য উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি জেলা কমিটিই নির্বাচন করবে জানিয়ে শাহ জাফর বলেন, আমি শুধু ফিল্ড ওয়ার্ক করে ভালো তরুণদের বাছাই করছি মাত্র। যাতে পরে তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।

অবশ্য বিষয়টি বোয়ালমারীসহ সারা জেলায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। অনেকে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রকৃত ছাত্রদের দিয়ে দল গঠন করার উপর জোর দিয়েছেন। বর্তমানে জেলা কমিটিসহ বিভিন্ন উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিত ও অছাত্রদের প্রধাণ্য রয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমান জেলা সভাপতি বেনজির আহমেদও বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক।

(এফএ/এএস/আগস্ট ০৯, ২০১৭)