জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর শহরের বিজিবি-চন্দ্রা রেলক্রসিং এলাকায় কমিউটার ট্রেনের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ ৭ জন নিহতদের মধ্যে ৬ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সকাল ১০টায় শহরতলীর কম্পপুর ঈদগাহ মাঠে কম্পপুর গ্রামের ইজিবাইকের চালক আব্দুর রহিম, হোসেন আলী, ফরিদুল ইসলাম ও চন্দ্রা গ্রামের মীর হোসেনসহ ৪ জনের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত। নিহত সদর থানার ঝাড়ুদার ছানোয়ারের লাশ টুকরা টুকরা হওয়ায় এখন পর্যন্ত তার মরদেহ দাফন করা হয়নি।

জানাজায় চন্দ্রা ও কম্পপুর ছাড়াও আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। এক সাথে ৪ জনের জানাজায় অংশ নেয়া মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

জানাজা শেষে মীর হোসেনকে পারিবারিক ও অপর ৩ জনের মরদেহ পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়। ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনেরই বাড়ি কম্পপুরে।

নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা ট্রেনের ধাক্কায় মহিলাসহ ৭ জন নিহতের ঘটনায় রেল কর্তৃপÿের গাফেলতির কারণে রেল ক্রসিং এর দুই পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাকে দায়ী করেছেন।

বুধবার বিকালে জামালপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি চন্দ্রা রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী একটি ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই ছানোয়ার হোসেন নামে সদর থানার ঝাড়ুদার নিহত হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ইজিবাইক চালক আব্দুর রহিম, যাত্রী মীর হোসেন ও ইন্তাজ আলী এবং ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া পথে হোসেন আলী তার ভাতিজা ফরিদুল ও ছালেহা বেগম মারা যান।

(আরআর/এসপি/আগস্ট ১০, ২০১৭)