কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে জমির বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন বড় ভাই। শুক্রবার সকালে বিলে আমনের চাষ দেয়াকালে কুপিয়ে আহত করা হলে সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান।

নিহতের নাম রমিজ আহমদ (৫৫)। তিনি ভারুয়াখালী ইউনিয়নের উল্টাখালীর গোলাম কিবরিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে উল্টাখালীর রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়ন অংশে পড়া জমিতে ট্রাক্টর নিয়ে চাষ দিচ্ছিলেন রমিজ আহমদ। সকাল ১০টার দিকে তার ছোট ভাই ছব্বির আহমদ বিলে গিয়ে জমিতে চাষ দিতে নিষেধ করে। এসময় ছব্বির আহমদের ছেলে রাসেল, তাজুল, বেদার, দিদার, নাজেম এবং ইউছুপও বাবার সঙ্গে যোগদেয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ছব্বির আহমদরা রমিজকে এলোপাতাড়ি কুপায়। এতে তিনি জখম হয়ে ঢলে পড়লে অন্য স্বজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

ভারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে রমিজ আহমদ ও তার ছোট ভাই ছব্বিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণে বিরোধীয় জমির মালিকানা রমিজ আহমদের বলে সাব্যস্থ হয়। এ সুবাধে তিনি জমিতে চাষ দিতে যান। সেখানেই হত্যার মতো নেক্কারজনক ঘটনা ঘটল।

ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, দু’সহোদরের বাড়ি কক্সবাজার সদর থানা এলাকার ভারুয়াখালীর উল্টাখালী। এলাকার কিছু অংশ পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলায় পড়েছে। সেখানেই তাদের বিরোধী জমি এবং হত্যার ঘটনাটি ঘটলো। খবর পেয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুল, সদর সার্কেল, রামু ও সদর থানার ওসিসহ অন্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পর থেকে হামলাকারিরা পলাতক রয়েছে। সদরের বাসিন্দা হলেও ঘটনাস্থল রামু হওয়ায় ওই থানায় মামলা হবে।

রমিজের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী খান।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১২, ২০১৭)