হুমায়ূন কবীর জীবন, কুমিল্লা : কুমিল্লা মহানগরীসহ আশপাশের এলাকায় গত দু’দিনের বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকায় পানি থৈ থৈ দেখা গেছে। বৃষ্টির পানি অনেকের বাড়ি ঘরে ঢুকে গেছে। রাস্তা তলিয়ে গেছে পানিতে। কোথাও হাঁটু সমান কোথাও কোমর সমান পানি উঠে গেছে। অপরদিকে বৃষ্টির কারণে সড়কগুলো বেহাল দশা।

কিছুদিন আগে জোড়াতালি দিয়ে ঠিক করলেও আবারও আগের চিত্রই দেখা যাচ্ছে। ফলে সড়কগুলোর করুণ অবস্থার কারণে সাধারণ জনগণের সীমান্ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা হলেও পরে আবার পানি সরে যায়। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফলে জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সাথে নোংরা পানি এক হয়ে এখন একাকার। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা এবং নোংরা পানি এখন রাস্তার উপর।

যে সকল এলাকায় সড়কে পানি রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ডিসি রোড, রেইসকোর্স, কাঠেরপুল, অশোকতলা, ছায়াবিতান, বিসিক, মুরাদপুর, বাগিচাগাঁও, চকবাজার, ইপিজেড রোড, দিদার মডেল হাইস্কুল রোড, ছাতিপট্টি, সরকারি মহিলা কলেজ রোড, ঠাকুরপাড়া বৌদ্ধমন্দির রোড, কালিয়াজুরি, স্টেডিয়াম রোড, ডায়াবেটিকস হাসপাতাল, টাউন হলের সামনে, নজরুল এভিনিউ রোড, রাজগঞ্জ, ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড, বারাপাড়া চৌমুহনী থেকে ময়নামতি মেডিকেল কলেজ রোড, তালপুকুরপাড়, পুলিশ লাইন, বজ্রপুর রোডসহ আরো অনেক জায়গায়।

সেসকল রাস্তাগুলো বেহলা দশা সেগুলো হচ্ছে ইপিজেড রোড, দিদার মডেল হাইস্কুল রোড, চকবাজার কাসারিপট্টি চৌমুহনী, রাজগঞ্জ, নজরুল এভিনিউ রোড, ধর্মপুর চৌমুহনী, শাসনগাছা, ডিগ্রি কলেজ রোডসহ নগরীর প্রায় সকল রাস্তাই বেহাল দশা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ জনগণ সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছে। বিশেষ করে রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যারা কর্মমুখী তারাও রেহায় পাচ্ছে না। অনেক জায়গায় গিয়ে দেখা গেলো ঘরের ভিতর থেকে পানি সরাচ্ছেন। কিন্তু আবারও পানি ঢুকে যাচ্ছে। আবার কোথাও দেখা গেছে দোকান বন্ধ করে রেখেছেন। অনেকের অনেক প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা রহিম মিয়া বলেন, এ এলাকা প্রবেশ মুখে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়। এ পানি অনেক সময় লাগে সরতে। রাস্তাটি অনেক নিচু রাস্তা। তাই বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। আমরা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জেলা প্রশাসক সড়ক এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, প্রতিবছরই বৃষ্টি হলে কোমর সমান পানি থাকে। বৃষ্টির পানি সরার আগে আবার বৃষ্টি আসলে পানি উঠে যায়। প্রায় বিশ বছর যাবত এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদেরকে। রাস্তাটি নিচু হওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা বেশি সৃষ্টি হয়। মনে হয় যেন কেউ দেখার নেই। নির্বাচন আসে নির্বাচন যায় জনপ্রতিনিধি অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়না।

অশোকতলা এলাকার পানিবন্দি গৃহিনী কুলসুম আক্তার বলেন, পানি যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। ড্রেনের ময়লা পানি ও বৃষ্টির পানি এক হয়ে ঘরে ঢুকে গেছে। অনেক পোকামাকড়ও দেখা যাচ্ছে। সন্তানদেরকে নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছি। রান্নাবান্না বন্ধ। বাইরে থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে। অতিদ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

(এইচকেজে/এএস/আগস্ট ১২, ২০১৭)