সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাপের বাড়ি থেকে নেশার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় এক গৃহবধুকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশের গলায় দড়ি বেঁধে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার চালানো হয়। নিজেকে বাঁচাতে স্বামী মুখে বিষ লাগিয়ে আত্মহত্যার নাটক করে। বৃহষ্পতিবার রাতে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধুর নাম রিক্তা খাতুন (১৯)। সে তালা উপজেলার শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মফিজুল মোড়লের স্ত্রী ও বালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
জালালপুর ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের দিনমজুর রফিকুল ইসলাম জানান, সাড়ে ছয় মাস আগে পার্শ্ববর্তী শ্রীমন্তকাটি গ্রামের এরফান মোড়লের ছেলে মফিজুল মোড়লের সঙ্গে তার মেয়ে রিক্তার বিয়ে দেন। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেওয়া হয়। বিয়ের এক মাস না যেতেই জামাতা মাদকাসকত্ বলে তিনি জানতে পারেন। জামাতা তার নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে রিক্তাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রায়ই নির্যাতন চালাতো।
তিনি আরো জানান, বৃহষ্পতিবার সকালে মফিজুল পাঁচ হাজার টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য রিক্তার উপর চাপ সৃষ্টি করে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে টাকা না আনায় রিক্তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জথম করে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় দড়ি বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেয়। নিজেকে বাঁচাতে মফিজুল কীটনাশক মুখে লাগিয়ে আত্মহত্যার নাটক করে। সকালে স্থানীয় লোকজন রিক্তার ঝুলন্ত লাশ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাকে খবর দেয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, তিনি সকালে খবর পেলেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। লাশ দেখে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পর বিস্তারিত জানানো হবে। মফিজুল বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মর্মে তিনি জেনেছেন।

(আরকে/এএস/এপ্রিল ১১, ২০১৪)