রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীতে হুহু করে বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। ১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬ টায় পানি পরিমানকৃত পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার জানিয়েছে আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিপদসীমার এই পর্যায়ে পানি প্রবাহীত হলে তালিয়ে যেতে পারে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৪টি ফেরিঘাট।

যমুনা ও পদ্মা নদীর মিলন হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এলাকায়। পানি বৃদ্ধির হার অতীত রেকর্ড ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের পুরো এলাকাই নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

জেলার গোয়ালন্দের দেবগ্রাম, দৌলতদিয়া, উজানচর ও ছোটভাকলা ইউনিয়নের ৪০ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। জেলা সদরের বরাট, গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে নদী ভাঙন। গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাসমত আলী খা জানান তার ওয়ার্ডে ৩৫০ টি পরিবারের মধ্যে ২৫০ টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান এরই মাঝে দুটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ২৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্যার ৫দিনেও ত্রাণের দেখা পায়নি বন্যাকবলিত ৪০ হাজার পরিবার। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানিয়েছে জেলার ৪ উপজেলার জি আরের চাউল এবং অর্থ বরাদ্দ শুরু হয়েছে। প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যা আজ থেকেই প্রদান করা হবে। ত্রান পাবার ক্ষেত্রে বন্যা কবলিত এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট ত্রাণ বরাদ্দ থাকলেও বানভাসী পর্যায়ের ভুক্তভোগী মানুষ পর্যন্ত সেই ত্রাণ পৌছায় না।

বন্যায় রাজবাড়ী আক্রান্ত হলে খাদ্যের অভাব হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জেরা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সি মুজিবুর রহমান জানান এই মুহূর্ত্বে তাদের ৬২৫ টন চাউল মজুদ রয়েছে আরো ১৩০০ টন চাউল খাদ্য গোডাউনে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি হয়েছে। যা দ্বারা বন্যা কবলিত মানুষের খাদ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৭, ২০১৭)