রাজবাড়ী প্রতিনিধি : দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌ বন্দর হয়ে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়ক ও রাজবাড়ীর বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে চলাচলে এবার ঈদে ব্যাপক ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ মহাসড়ক ও সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্ট হওয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো ও ঈদ শেষে ঢাকামুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিয়ে এ শঙ্কার কথা জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় বাস মালিক ও শ্রমিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হোসেন ও অন্যান্যরা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এ সময় মুরাদ হোসেন বলেন, ঈদের আগে থেকেই রাজবাড়ীর মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়ক সংস্কারের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। বর্তমানে গোয়ালন্দ মোড় থেকে নতুন বাজার মুরগির র্ফাম পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত মহাসড়কের বেশ কয়েকটি স্থান একেবারেই যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রতিনিয়ত ওইসব স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। সড়কের এ অবস্থা বজায় থাকলে তারা দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতে পারেন।

অফির্সাস ক্লাবে প্রস্তুতিমূলক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী। এতে জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভায় জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, টানা ও অতিবৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে থাকায় বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে ওইসব স্থানে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে সড়কে যে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে, তা যেন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির কারণ না হয়। ছোট-বড় যে গর্ত গুলো রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তা দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দেন তিনি।

আগামী ঈদে যেন জেলার মহাসড়ক ও সড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে ও ঘরমুখো মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেন তিনি।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৭, ২০১৭)