স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপিদের বক্তব্য নজিরবিহীন। সরকার এখন ইচ্ছা করেই সহিংতার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।’

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এনডিপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার জাহিদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সহায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ষােড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর সরকার বিচার বিভাগকে প্রকাশ্যে করায়ত্ত করার চেষ্টা করছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় যেকোনো রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে গেলে তারা সংক্ষুব্দ হতে পারে কিন্তু সরকারের মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলছেন সেটা ইতিহাসে নজিরবিহীন।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশের মানুষকে জানিয়ে জোড় করে রায় নিজেদের পক্ষে নেয়ার চেষ্টা করছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ্য হতে হবে।’

আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বেআইনিভাবে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে এখন রাষ্ট্রের উপর হাত দিয়েছে। রাষ্ট্রের ভিত্তি এক এক করে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খায়রুল হকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চম সংশোধী বাতিল করে বিচারপতি খায়রুল হক বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে তিনি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। অবিলম্বে আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি এবং তার বিচার হওয়া উচিৎ।’

‘নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করার কাজ করবে না’ -প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দেয়া এমন বক্তব্যের তিনি বলেন, ‘আইনে কী আছে সেটা নয়, বাস্তবতাটাকে দেখতে হবে। এদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মত রকিব মার্কা নির্বাচন আর হতে দেয়া হবে না। জনগণ করতে দেবে না। সংলাপ ও আলোচনা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৭)