শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : অবশেষে আমদানি করা চালের শুল্ককর কমানোর ফলে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আটকে থাকা চালের চালান ছাড় করে নিচ্ছেন ব্যবসায়িরা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় আমদানি চালের উপর বিদ্যমান থাকা ১০ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ শুল্ককর করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এই আদেশ স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যালয়ে পৌছালে খালাস কার্যক্রম শুরু করেন ব্যবসায়িরা।

চাল আমদানিতে শুল্ককর কমছে এমন খবরে এবং বিদ্যমান শুল্ক দিয়ে আটকে থাকা চাল খালাস করা হলে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার এই আশঙ্কায় চালের খালাস কার্যক্রম গত ১৫দিন ধরে বন্ধ রাখেন ব্যবসায়িরা। ফলে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের অভ্যন্তরে ভারতীয় ৪৫০টি ট্রাকে প্রায় ১৪ হাজার মেট্রিকটন চাল খালাসের অপেক্ষায় আটকে থাকে।

বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ি শফিকুল ইসলাম সহ অনেকে জানান, পুর্বের ১০ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে আটকে থাকা চাল ছাড় করা হলে ব্যবসায়িরা আর্থিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হতেন। এখন ২ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে ছাড় করা হচ্ছে এসব চাল। এরফলে কেজিতে কমে আসবে চালের দাম। ৩২-৩৫ টাকায় পাওয়া যাবে আমদানি করা চাল।

বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্টের ব্যবস্থাপক অসিত কুমার স্যানাল জানান, গত ১৪-১৫ ধরে বন্দরের পানামা রিপোর্টে ৪৫০টি ভারতীয় ট্রাকে সাড়ে ১৩ হাজার মোট্রিকটন আমদানি করা চাল খালাসের অপেক্ষায় আটকে ছিল। চালের শুল্ক কমের ফলে ব্যবসায়িরা চাল খালাস প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন। এবং খালাস করে নিচ্ছেন।

এদিকে বন্দরের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট মো. ফখর উদ্দীন জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চাল আমদানিতে শুল্ক কমের আদেশ পেয়েছি। চাল ছাড়করণের জন্য ব্যবসায়িরা এই পর্যন্ত ২০টি বিল অব এন্ট্রি কাস্টমস কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। আগে ১০ শতাংশ ছিল চালের শুল্ক। এখন ২ শতাংশ করা হয়েছে।

(এসএএস/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০১৭)